আদালতকে গুমরা করার জন্য এএসআই মজিবুরের ভুয়া প্রতিবেদন

472

সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ নারায়নগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতকে গুমরা করার জন্য এএসআই মজিবুরের ভুয়া প্রতিবেদন দাখিল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

১৮ জুলাই ১১.৪৫ মিনিটে আদালতে গিয়ে বিবাদী সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ এএসআই মজিবুরের ভুয়া প্রতিবেদন রিপোর্ট দেখে হতভম্ব। ভুয়া প্রতিবেদনে “বাদীর মানীত সাক্ষীদেরসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের তফসিলী সম্পত্তি দখল বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সরেজমিনে তদন্তকালে নিম্মে বর্নিত নালিশী সম্পত্তি বাদী বাদী মোঃ হারুনুর রশিদ এর ভোগ দখলে আছে বলিয়া জানা যায়” লেখা দেখেই এএসআই মজিবুরকে কল করে জিজ্ঞাসা করেন কিসের বলে  লিখে দিলেন, মজিবুর বলেন,“ভাই সামনা সামনি কথা বলব নে, সারা রাত ডিউটি করেছি, একটু ঘুমাচ্ছি” এখানে বলা বাহুল্য যে ২০১০ সালের ১ লা এপ্রিল আদালত থেকে ডিক্রি জারী করে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে এই জমি বুজিয়ে দেয়। তখন থেকে এই জমির উপর দোচালা টিনের ঘর আছে চারদিকে দেওয়াল আছে। সদ্য বায়না করা মালিকের সাইনবোর্ড সাটানো আছে। এএসআই মজিবুর কিভাবে ভুয়া প্রতিবেদন রিপোর্টে অন্যকে দখল দেখালেন।

শুধু এএসআই মজিবুর নয়, সোনারগাঁ থানার ওসি, এসআই ফিরোজ, এসআই নুরুল ইসলাম, এসপি জায়েদুল আলমসহ পুর্ব্ব্রতী অনেক পুলিশ অফিসারের নলেজে আছে যে এই জমি আদালত থেকে দখল পাপ্ত সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ। ১২মে ২০২২ ইং তারিখে রেজিষ্ট্রি বায়না করেন অত্র এলাকার মোঃ সোলাইমান সাহেবের সাথে এবং তার নামের সাইন বোর্ড সাটানো আছে। যা এসআই ফিরোজ ও নুরুল ইসলাম এবং ওসি হাফিজুর রহমান জানেন। কারন হারুনুর রশিদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বায়নাকৃত সাটানো সাইনবোর্ড ফেলে দেওয়ার এবং তাদের লেখা সাইনবোর্ড লাগানোর পায়তারা করলে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ এই বিষয়ে বিগত ৫ জুলাই ওসি হাফিজুর রহমানকে কল করে না পেয়ে, ঘটনার তথ্য মেসেজ লিখে জানায় এবং এএসআই মজিবুর, এসআই ফিরোজ, এসপি ও ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জকে ঘটনা হোয়াটসয়াপে ওসির কাছে লেখা মেসেজ ছবি আকারে পাঠিয়ে তাদেরকেও ব্যপারটি দেখার অনুরোধ করে। সবাই হোয়াটসয়াপের মেসেজ সিন করেছে বলে জানান তিনি। একই ঘটনা ১৫ জুলাই শুক্রবার ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দিয়ে একই কায়দায় বায়নাকৃত সাইনবোর্ড ফেলে তাদের লেখা সাইনবোর্ড সাটানোর পায়তারা করলে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ অনেক বার ওসিকে কল করে না পেয়ে এএসআই মজিবুরকে জানায় এবং ওসির নিকট লেখা মেসেজ এসপি ও ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জকে হোয়াটসয়াপে প্রেরন করে। এসপি ও ডিআইজি মেসেজ সিন করেছে বলে জানা যায় কিন্তু কোন ধরেনের পদক্ষেপ নেয়নি সোনারগাঁ থানা পুলিশ।

প্রকৃত ঘটনা, শাহপুর মৌজার সিএস ও এসএ ১৫৮ নং দাগের ১৮ শতাংশ, সিএস ও এসএ ৪৯ দাগের ১৯ শতাংশ, সিএস ও এসএ ৬৮ নং দাগে ১২ শতাংশ, সিএস ও এসএ ৫০ নং দাগে ১৭ শতাংশ মোট ৬৬ শতাংশের  ৭ আনায় ২৮.৮৮ শতাংশ মালিকছিলেন সাংবাদিক সুলতান মাহমুদের দাদী আরজান বিবি ওরফে বছিরুন ও পিতার ওয়ারিশ সুত্রে মালিক ৬ ভাগের ১ ভাগ অর্থাৎ ৫.৫ শতাংশ একুনে মোট ৩৪.৩৮ শতাংশ।এই জমিসহ ভাটিবন্দর ও দিয়ারা মেনিখালি মৌজার জমি নিয়ে ২০০৫ সালে বিজ্ঞ সোনারগাঁ সহকারী জজ আদালতে মামলা করি, যার নং ১০/২০০৫, এই মামলায় সোনারাগা আদালত থেকে প্রাথমিক ডিক্রি হয়। পরে তা বদলী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী ২য় আদালতে যায়, যার নং ৩১৪/২০০৯ এবং চুড়ান্ত ডিক্রি হয়। পরে ডিক্রি জারী মামলা হয় যার নং ০৩/২০০৯ এবং এই ডিক্রি জারী মামলা ২০১০ সালের ১লা এপ্রিল ডাকঢোল পিটিয়ে আদালতের নাজির, কমিশনার, উকিল,ঢোলি ঢোল পিটিয়ে সকলের সামনে লাল নিশানা উড়িয়ে সীমানা নির্ধারন করে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে বুজিয়ে দেয়।

ডিক্রি জারী মামলার বলে ৩ মৌজা থেকে আদালত কর্তৃক বেদখল হয় আয়মন বিবির ওয়ারিশ তমিজ উদ্দিন গংসহ অনেকে। পরে তমিজ উদ্দিনের ওয়ারিশ অমিত বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ ৪র্থ আদালতে মামলা করে, যার নং ৬৫/১০, ছিদ্দিকুর রহমান বাদী যার নং ৫০/১০, ভাটিবন্দরের চান মিয়াগং বাদী যার নং ৫৭/১০, আক্তারুজ্জামান (হারুন ও হুমায়ুন) বাদী ৪৬/১০ মামলা দায়ের করে। ৫০/১০ ও ৫৭/১০ মামলা দুইটি খারিজ হয়, ৬৫/১০(আয়মন বিবির প্রকৃত ওয়ারিশ) মামলা কন্ট্রাস করে ১০/২০০৫,৩১৪/০৯, ০৩/০৯ মামলার রায় ডিক্রি মেনে ১১ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করার নেয় বিজ্ঞ আদালত থেকে আপোশ করে। ৪৬/১০ বাদী আক্তারুজ্জামান (হারুন ও হুমায়ুন) মামলা পুরা কন্ট্রাস করে মামলা খারিজ হয়।মামলা খারিজ হওয়ার পর সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ উক্ত ভুমি মোঃ সোলায়মান সাহেবের নিকট রেজিস্ট্রি বায়না করেন।

হেরে গিয়ে আক্তারুজ্জামান (হারুন ও হুমায়ুন)গং নানা কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী শুরু করে। সোনারগাঁ থানায় জুন মাসে একটি মিথ্যা অভিযোগ করে, যা অদন্ত করে এস আই ফিরোজ ও নুরুল ইসলাম। থানায় মিথ্যা মামলায় কাবু করতে না পেয়ে বিজ্ঞ সহকারি জজ সোনারগাঁ আদালতে দেওয়ানী মামলা করে যার নং ২০৫/২২, পরে অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা করে যার নং ৩৮৭/২২ ধারা ১৪৫, এর সুবাদে আদালতের নির্দেশ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখায় দায়িত্ব পায় সোনারগাঁ থানার এএসআই মজিবুর। নোটিশ জারি করে তদন্তের নামে ছল চাতুরি করে আদালতকে ঘোমরা করার জন্য ভুয়া প্রতিবেদন প্রেরন করেন। যা সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ ডিনাই করবেন বলে শুনা যায়। অদ্য ১৮/০৭ তারিখে মামলা এপ্রিয়ার হয়েছে বলে জানান সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ। পুলিশ সুপার বরাবর এই অসৎ এএসআই মজিবুরের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমানকে কল করলে তিনি কল ধরেন নি।