রাসেল নামে সুতা ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৫০০০০ টাকা মুক্তিপণ দাবি 

215

স্টাফ রিপোর্টারঃ গতকাল ২৪ শে সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৩ টায় বন্দর থানা বাবু পাড়ার  আবদুল সাত্তার মিয়া ছেলে ওয়েস্টিজ সুতা  ব্যবসায়ী মো রাসেল  বন্দর মাধব পাশা বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার পথে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী পথ অবরুদ্ধ করে বিদেশি পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে অপহরণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন নারী সম্রাঙ্গী দেহ ব্যবসায়ী শাহানাজের সন্ত্রাসী বাহিনী ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় নারী সম্রাজ্ঞী দেহ ব্যবসায়ী শাহানাজ বেগম(৪০) তার ছেলে ইমন (২৭) মোশাররফ (২৬) জুম্মন ( ২৫) ইমরান (১৯), এই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন, পাশাপাশি বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের নারীদের অপহরণ করে যোর করে দেহ ব্যবসা কাজে লাগিয়ে দেন। এভাবেই তিনি বন্দরে গড়ে তোলেন পতিতা ও মাদক ব্যবসা। 

অভিযোগ সূত্রে আরো যানা যায় হুশিয়ারী ব্যবসায়ী রাসেল বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার পথে ২ নং মাধবপাশা টমটম ব্রিজের কাছে গেলেই নারী সম্রাজ্ঞী  দেহ ব্যবসায়ী শাহানাজের সন্ত্রাসী বাহিনী এসে পথ রুদ্ধ করে অজ্ঞান করে শাহানাজের পতিতালয়  নিয়ে যায়। সেখানে তার বাহিনী দিয়ে গড়ে তোলেছেন টর্চার সেল, টর্চার সেলের গাছের সাথে বেধে  মুক্তিপন দাবি করেন ৫০ হাজার টাকা। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। 

পরে ব্যবসায়ী রাসেলের ছোট ভাই শুভ  ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি হামলা করে নিলাফুলা যখম করে। 

এ বিষয়ে নাম বলতে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান দীর্ঘদিন যাবত শাহানাজ বেগম সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করে পতিতালয় গড়ে তুলেছে। শাহানাজ নিজেও একজন পেশাদার দেহ ব্যবসায়ী, আমরা এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মহাড়া দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন। 

এলাকাবাসী আরো বলেন  বন্দর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে স্থানীয় কিছু পাতি নেতার ছত্রছায়ায় দাপুটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা, কিন্তু  বন্দর থানা পুলিশের কোন তৎপরতা নেই বললেই চলে।মনে হচ্ছে পুলিশের ইশারায় দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে পতিতা ব্যাবসা।

এবিষয়ে বন্দর থানা ওসি দীপক চন্দ্র সাহাকে কল  দিলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব অপরাধী যেই হউক শাস্তি তাকে পেতে হবেই।