কাঁচপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী মোমেন বাহিনীর হামলা, টাকা লুট

182

সফিকুল ইসলাম ইমামঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর সিনহা টেক্সটাইল মিলস’র বিপরীত পাশে লাভলী সিনেমা হল কমপ্লেক্সের নিচ তলায় “ভাই ভাই ইলেকট্রনিক্স এন্ড ফার্নিচার মার্ট” নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন মোমেন বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা ও নগদ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকাসহ দোকানের মালামাল লুট ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে ভাই ভাই ইলেকট্রনিক্স এন্ড ফার্নিচার মার্ট এর স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৫ অক্টোবর বুধবার বিকেল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী প্রথমে আমার দোকানে ঢুকেই সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। তারপর আমার উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে আমাকে আহত করে ক্যাশে থাকা ব্যবসার নগদ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় আমার দোকানের মালামাল ভাংচুর করে সন্ত্রাসী বাহিনী। 

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুইজনকে আঁকড়ে ধরি এবং আমার ডাক-চিৎকারে আশপাশের দোকানদার ও এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুইজনকে উত্তম মাধ্যম দিতে থাকে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ওই এলাকায় “মোবাইল সেভেন” ডিউটিরত সোনারগাঁ থানার এস আই মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আটককৃতরা হলো, কিশোরগঞ্জ মিঠামন চারগ্রাম এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে পাভেল (১৯) ও রূপগঞ্জ পূর্বগ্রাম আবুল কালামের ছেলে অনন্ত (২২)।

এর আগে আটককৃত দুজনই জানায়, কাঁচপুর সোনারপুর এলাকার হাজী আমির হোসেনের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন মোমেনের নির্দেশে তারা ওই ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। মোমেনের পরিচয় কনফার্ম করার জন্য আটককৃত দুইজনকে মোমেনের ছবি দেখালে এই মোমেনের নির্দেশেই হামলা করার বিষয়টি জনসম্মুখে স্বীকার করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ত্রাসী মোমেন এর আগেও র‍্যাবের হাতে আটক হয়েছিলো, তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকাবাসী বলেন, এর আগে ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে এক মোটরবাইক ছিনতাই করতে গেলে সন্ত্রাসী মোমেনকে বাধা প্রদান করেন তিনি। এরই জের ধরে আজ সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন মোমেনের নির্দেশে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন (৫৫) এর উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী মোমেন বাহিনী।

এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার এস আই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সাধারন জনগন দুইজন হামলাকারীকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। দু’জনকেই সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় দুজনকে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।