আল আমিন নুরঃ ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যা চেষ্টা মামলার ০২ জন আসামী র্যাব-১১, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক গ্রেফতার করেছে।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ গত ০৭ নভেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন বালিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ভিকটিম সাব্বির হোসেন (২৬)’কে হত্যার চেষ্টা মামলা হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহহাজার থানাধীন বালিয়াপাড়া এলাকার মৃত আলমাছ মিয়ার ছেলে মোঃ মোক্তার হোসেন (৩৪) এবং মোঃ শাহাদুল্লাহ (৪৫)দ্বয়’কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামীরা সন্ত্রাসী, ত্রাস সৃষ্টিকারী এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তারকারী। ভিকটিম তাদের এরুপ সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বাধা দিলে আসামী মোঃ মোক্তার হোসেন (৩৪) এবং মোঃ শাহাদুল্লাহ (৪৫) সহ তার অন্যান্য সহযোগীরা পরস্পর যোগসাজসে গত ০৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখ আড়াইহাজার থানাধীন বালিয়াপাড়া বাজারস্থ আল-মামুন এর ফার্মেসীর সামনে বে-আইনী জনতাবদ্ধে ভিকটিম সাব্বির হোসেন (২৬)’কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এই পাশবিক ও নৃশংস ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা দিপালী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-১১, তারিখ ০৭ নভেম্বর ২০২১খ্রিঃ। উক্ত ঘটনার পর হতে এজাহারনামীয় পলাতক আসামীরা কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল হত্যার চেষ্টা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং মামলা রুজু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মোঃ মোক্তার হোসেন (৩৪) ও মোঃ শাহাদুল্লাহ (৪৫)দ্বয়’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা বর্ণিত ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত আছে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদের আড়াইহাজার থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।