আল আমিন নূরঃ নারায়নগঞ্জ শহরের মর্গান স্কুলের দুর্নীতি ও অর্থের কাছে অসহায় যখন শিক্ষা, তখন গরীব ছাত্রী যাবে কোথায়? প্রশ্ন ভোক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবার। ছাত্রীর নাম সুচনা,রোল নং তিন, বাবা সামান্য সিকিউরিটি গার্ড। দশম শ্রেণীতে এই মেয়েটি নিজের পড়াশুনা চালায় টিউশন করে। স্কুলে বিশেষ ক্লাস করতে বছরে ৬০০০ টাকা লাগে। এটি পরিশোধ করতে পারছিল না মেয়েটি। তার অভিযোগ টেস্ট পরীক্ষার… আরো দিন সিট থেকে উঠিয়ে অফিসে নিয়ে ৪৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে করা হয়েছে নানা নির্যাতন। টেস্ট পরীক্ষায় তিন বিষয়ে ফেল করিয়ে দেয়া হয়েছে। এর সুস্থ তদন্ত ও বিচারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রী।
এবিষয় নিয়ে বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় নিউজ হয়েছে কিন্তু তাতেও কর্নপাত করছে না স্কুলের শিক্ষকরা ও কর্তৃপক্ষ।বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি, জেলা শিক্ষা অফিসার ও জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিকে অবগত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী সুচনা চেলেঞ্জ করে তার খাতা দেখার জন্য আবেদন করেছে কিন্তু আদ্য পর্যন্ত পরীক্ষার খাতা দেখার ব্যবস্থা করে নাই কর্তৃপক্ষ। এতে করে সন্দেহের জাল বুনছে সবার মনে, তাহলেও আসল ঘটনা কি?
এব্যাপেরে বিগত ২১ নভেম্বর সন্ধায় জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ মোবাইলে ফোনে মর্গান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেন। অধ্যক্ষ বলেছিলেন, “আবেদন করলে খাতা অবশ্যই দেখাব।” কিন্তু অদৃশ্য দুর্নীতির জালে তা এখনো দেখার ব্যবস্থা করে নাই বরং উক্ত ছাত্রীকে পুর্নপরীক্ষার নামে পরীক্ষা নিয়ে আগের মত ফেল করিয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রীর বাবা-মার।
সুচনার বাবা বলে, “শুধু আমার মেয়েই নয়, আরো মেয়ের সর্বনাশ করছে ঐ স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা। আমি এই দুর্নীতির বিচার চাই, দয়া করে আমার মেয়ের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।”
সোনারগাঁ সংবাদ ফেসবুক আইডিতে বলা হয়ঃ প্রতিবাদ করুন আপনার ফেসবুক আইডি আপনার জন্য শক্তিশালী মিডিয়া ! যদি নিয়ত হয় সৎ ও সুন্দর। স্কুলের সকল শিক্ষকদের এমপিও স্হগিত রেখে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিৎ। বিশেষ করে, মর্গ্যানের সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তার এর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ আনা উচিত৷ বিশেষ ক্লাস কি? কোচিং জন্য ৬০০০ টাকা নেয়!! একজন শিক্ষার্থীর সাথে এমন ব্যবহার জন্য মর্গ্যান হাই স্কুলের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা হওয়া উচিত৷
জানা যায়, আরো অনেকের ফেসবুল আইডি থেকে পোস্টি ভাইরাল হয়েছে। জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি ও অপরাধ বিচিত্রার টিম মাঠে আসবে এই দুর্নীতির পর্দা ফাস করতে।
এব্যাপারে মর্গান স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা লায়লাকে কল করলে তিনি কল না ধরে কল কেটে দেন। মর্গান স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। চলবে…………।