আল আমিন নূরঃ নারায়ণগঞ্জে ১০ম শ্রেণির রোল ৩ ছাত্রীকে বিশেষ বেতন দিতে না পারায় নির্বাচনী পরীক্ষায় ৩ বিষয়ে ফেল করিয়ে দেয়ার সেই নিতুর সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজ। ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি কিন্তু অন্যান্য মেয়েদের দায়িত্ব নিবে কে এবং মর্গান স্কুল এন্ড কলেজের দুর্নীতি রুখবে কে?? প্রশ্ন জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির।
শুধু দায়িত্ব নয়, মর্গান গাল’স স্কুলের অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়েছন জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ও অপরাধ বিচিত্রার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ এবং জেলার কমিটির সাধারন সম্পাদক শফিউল আলম। বিশেষ ক্লাশের নামে যে টাকা নিয়েছে সেই টাকা কোণ খাতে খরচ হয়েছে তা খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়েছে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি।
২০২৩ সালের এস এস সি পরীক্ষার জন্য ৪শ ৩৩ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় দিয়ে ২৯০ জন পাশ করে, ১শ ৪৩ জন ফেল করে। দ্বিতীয়বারে পরীক্ষা দিয়ে ৮৯ জন পাশ করে কিন্তু রয়ে যায় ৪৪ জন। এই চুয়াল্লিশ জনের দায়িত্ব নিবে কে? প্রশ্ন রয়ে গেল।
এব্যাপারে মর্গান স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক্কে কল করলে তিনি বলেন, “নিতু দাসের ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডেপুটি ইন্সপেক্টর আরিফুল হক এসেছিলেন তদন্ত করতে।” তিনি আরো বলেন, “বাকি ৪৪ জনের জন্য ৩ বারের মত পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লাকে কল করলে তিনি কল না ধরে কল কেটে দেন।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, শুধু পরীক্ষা নয়, অনেক কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে থাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা। বিশেষ ক্লাশের নামে প্রতি মাসে ১ জন থেকে ৫০০ টাকা নিলে মাসে ৩৬ লাখ টাকা, এই টাকা কোথায়? নাম না প্রকাশের শর্তে কিছু অভিভাবক জানায়, তদন্ত করলে অনেক কিছুই বের হয়ে আসবে।