ডিসির সিএ আতিক সেবা বঞ্চিত করেছে ভুক্তভোগীকে

200


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আবেদনের কপি দিয়ে ডিসির সিএকে দিয়ে সহয়তা করেও সিএ আতিক সেবা বঞ্চিত করেছে ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেনকে। ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন নারায়ানগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট তার জমিসহ সরকারী জমির উপর জবর দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারনে সহয়তা চেয়ে গত ১৯/০১/২০২৩ ইং তারিখে আবেদন করে। ১৫/১৬ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও ডিসি নিকট কোণ সহয়ত না পেয়ে ভুক্তভোগী বিগত ০৪/০২/২৩ ইং তারিখে চেয়ারম্যান জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউডেশন এর নিকট দুর্নীতি প্রতিরোধ ও আইনত সহয়তা পাওয়ার আশায় আবেদন করে। আবেদনটি সংস্থার চেয়ারম্যান লিখিতভাবে সংস্থার নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে ঘটনাটি দেখার দায়িত্ব অর্পন করেন এবং ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলেন।
সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা দায়িত্ব পেয়ে আবেদনের কপি জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজকে তার মোবাইলের হোয়াটস অ্যাপে প্রেরন করে তার নিকট সাক্ষাৎকারের জন্য সময় নির্ধারন করেন ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা। সে মতে সাক্ষাৎকারের জন্য ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেনকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের অফিসে সাক্ষাত করেন। ডিসি মঞ্জুরুল হাফিজ তাৎক্ষনিক সি এ ডেকে তার অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেটকে ডাকতে বলেন। সিএ ফিরে এসে বলে, “স্যার, স্যারতো এজলাসের কাজে ব্যস্ত আছেন, তাই কথা বলতে পারি নাই।“ ডিসি মঞ্জুরুল হাফিজ তখন সিএকে বলেন,’’ ম্যাজিস্ট্রেটকে বল আজকেই গিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিতে, আর উনাদের নাম ও নাম্বার রাখ।“

অতপর ডিসি ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেনকে বলেন,“ যান ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি, যদি অবৈধভাবে স্থাপনা করে থাকে, তাহলে আজকেই ভেঙ্গে দিবে।“

ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন সিএ এর রোমে আসলে তার নিকট আবেদনের কপি চায়, ভুক্তভোগী বলে,”আমার কাছে এখন নাই, তবে বাসায় আছে, আর আপনাদের ফাইলএ তো কপি আছে। তখন সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ তার মোবাইলে আছে বলেন এবং আবেদনের কপি পিএস রাহমান এর মোবাইলের হোয়াটস আপে প্রেরন করেন এবং পিএস রহমান ২টি কপি প্রিন্ট করে দেয়। কপি ২টি সিএ আতিককে বুজিয়ে দিয়ে গিয়ে সাংবাদিকের সাথে কিছু কথা কাটাকাটি হয় বলে জানান আমজাদ হোসেন।“

৩০ মিনিট পর আমজাদ হোসেনকে কল করে ডিসির সিএ বলে,’’ আপনারা খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে আপনাদের কাজ আর করা হবেনা।‘’

ভুক্তভোগীর প্রশ্ন, আমরা তো কোন খারাপ ব্যবহার করি নাই, বরং সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ আবেদনের কপি দিয়ে সহয়তা করেছে। তাদের ফাইল তারা খুজে পায় নাই বিধায় সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ আবেদনের কপি দিয়ে সহয়তা করেছে কিন্তু কিসের জন্য আমি সেবা বঞ্চিত হইলাম?