চাঁদাবাজি,জবর দখলসহ বহু অপকর্মের হোতা নান্নু

200

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় চাঁদাবাজি, জবর দখলসহ বহু অপকর্মের হোতা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে। সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে এবার এক কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে শরিফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় উপজেলার রাজনৈতিক মহলে সর্বত্র তোলপাড় চলছে।

কিছুদিন আগে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করে শরিফ। মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ বিচারক মো. নূর মহসীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামি হল গোহাট্টা এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র আহাম্মদ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শরিফ হোসেন দেশে ফিরে এসে সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চর মেনিখালী মৌজায় লিটন মিয়া ওরফে ইব্রাহীমের কাছ থেকে ৮ শতক জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণের জন্য, জমি নামজারি করে সেখানে মাটি ভরাটও করে। এরপর দশতলা ভবন নির্মাণের জন্য মাটির পরীক্ষা সম্পন্ন করে সম্প্রতি জমিতে রড, সিমেন্ট ও ইট-বালু নিয়ে আসে। নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসার পর গত ১০ জানুয়ারি রফিকুল ইসলাম নান্নুর নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী দল জমিতে এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য শ্রমিকদের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে জমির মালিক শরিফ ছুটে আসে।

এ সময় তার সাথে ছিল তার ভাই জসীম উদ্দিন, ফয়সাল, সামাদ ও বজলুর রহমান। তারা রফিকুল ইসলাম নান্নুকে কাজ বন্ধ করার জানতে চাইলে সাথে সাথে তাদেরকে লোহার রড, কাঠ ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। এ সময় শরিফকে বাঁচাতে তার ভাই ছুটে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।

তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে নান্নু এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে জমিতে কাজ করতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়। এমনকি শরিফকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এ ঘটনায় শরিফ মিয়া সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি জানালেও কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ; বাধ্য হয়ে শরিফ আদালতের দ্বারস্থ হন।

বিষয়টি আমলে নিয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

নান্নুর বিরুদ্ধে মারধর চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সড়ক অবরোধ করেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাইকারটেক এলাকায় সড়ক অবরোধ করে তারা।

জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগ সভাপতির শ্বশুরবাড়ি মোগরাপাড়া চৌরাস্তায়, সে সুবাধে তিনি চৌরাস্তায় বসবাস করেন। নবীগঞ্জ থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় চলাচলকারী প্রায় তিন শতাধিক সিএনজি অটোরিক্সা রয়েছে। এ সিএনজি থেকে তিনি নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করেন। তাকে চাঁদা না দিলেই সিএনজিচালকদের মারধরের শিকার হতে হয় বলে জানিয়েছেন চালকরা।

নবীগঞ্জ থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় চলাচলকারী সিএনজিচালক কাউসার মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি রফিকুল ইসলাম চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে তার লোক দিয়ে চাঁদা ওঠান। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই মারধর। এছাড়াও তিনি স্ব-শরীরে এসে মারধর করেন। গাড়ি ভাঙচুর করেন।

সিএনজিচালক সুমন বলেন, নান্নুর অত্যাচারে এ রুটে চলাচলকারী সিএনজি চালকরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। তার অত্যাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজও এক সিএনজি চালককে মারধর করেছে চাঁদা না দেয়ায়।

সিএনজিচালক হুমায়ুন কবির জানান, মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় তেমন কোনো স্ট্যান্ড নাই। যা আছে সেগুলো নেতারা দখল করে রেখেছে। রাস্তার মধ্যে তার শ্বশুরের মার্কেটের সামনে রাখলে তাকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে তিনি গাড়ি ভাঙচুর করেন। ড্রাইভারদের মারধর করেন।

নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে চারতলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে চারতলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে। সোনারগাঁয়ের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁ জিআর ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভবন নির্মাণের অভিযোগ তুলেন এলাকাবাসী ও শিক্ষক কর্মচারীরা।

জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নের ২কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যায়ে সোনারগাঁয়ের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁ জিআর ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চার তলা বিশিষ্ট ভবনের ঠিকাদারি কাজ পান সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু। এ ভবনের নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো সে মাত্র ৪৫ কাজ শেষ করতে পারেননি।

সরেজমিনের ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল মাঠের দক্ষিন দিকে একটি তিনতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণাধীন। ওই ভবনের পাশেরই নিন্মমানের ইট, সুরকি, অন্যস্থানে ব্যবহার করা পুরাতন ইটের সুরকি, পুরাতন রড ও বালু মিশ্রিত সিলেশন বালু ফেলে রাখা হয়েছে।

অধ্যক্ষ মো. সুলতান মিয়া বলেন, এ ভবন নিয়ে আমরা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি। এখানে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ করেছেন। তাকে বাধা দিলে তিনি কাজ বন্ধ রাখেন। স্কুল ছুটির পর থেকে রাতের আধারে তিনি এ কাজ করেছেন। তাকে তেমন কিছু বলাও যায় না। দীর্ঘদিন ধরে এর নির্মাণ কাজ চলছে। ফলে সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের ফেলে পাশ্ববর্তী মডেল ভবনেও ফাটল দেখা দিয়েছে। মডেল ভবনের ট্যাংকিও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। একটি বাথরুমে শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রী ব্যবহার করছে।

সোনারগাঁ জিআর ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোতালেব মিয়া স্বপন বলেন, আমাদের সম্পদ আমাদের রক্ষা করতে হবে। এ ভবনে যে পরিমাণ নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে এ ভবন ৩০ বছর মনে হয় টিকবে না। প্রতিবাদ করে আমাদের সম্পদ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আরিফুল হক নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের সত্যতা ম্বীকার করে বলেন, নিন্মমানের সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুনরায় নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে থাকলে তা ভেঙ্গে দেওয়া হবে। কেউ প্রকৌশলীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে সেটা তার ব্যক্তিত্বের পরিচয়।

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ভেতরে রেখে বাহির থেকে দরজা আটকে দেওয়া

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল জব্বারকে তার কক্ষের ভেতরে রেখে বাহির থেকে দরজা আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে। দুই বছর আগে নির্মাণ করা একটি ব্রিজের ঠিকাদারি কাজের বিল প্রাপ্তিতে বিলম্ব হওয়ায় নান্নু দলবল নিয়ে পিআইওর কক্ষে ঢুকে তাকে শাসায়। কয়েক দফায় পিআইওর টেবিল চাপড়ানোর পর তাকে ভেতরে রেখে বাহির থেকে দরজা লক করে দেয়।

১৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার,বাঁধ দিয়ে নৌযোগাযোগ বন্ধ করে

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় মেনিখালী খালে সেতু হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বাঁধ দিয়ে নৌযোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীসহ উপজেলার ১৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সেই সঙ্গে নৌযান শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরে প্রবেশের জন্য মেনিখালী খালের ওপর পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দ ও সোনারগাঁও পৌরসভার সাহাপুর এলাকায় এই সেতু হচ্ছে। এলজিইডির অর্থায়নে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকায় ৬০ মিটারের সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা গত ১৪ মে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদার উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু খালে বাঁধ দিয়ে সেতু নির্মাণকাজ শুরু করে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, খালে বাঁধ দেওয়ায় এই পথে মাল পরিবহন করতে না পারায় আর্থিকভাবে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দুর্ভোগেও পড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানায়, নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সোনারগাঁয়ে কাঠের সবচেয়ে বড় বাজার বলে খ্যাত সাহাপুর কাঠপট্টি। দক্ষিণে ভাটিবন্দ এবং উত্তরে সাহাপুরের মধ্যকার মেনিখালী খালে বাঁধ দিয়ে সেতু নির্মাণ করায় নৌকা চলাচল করতে পারছে না।ঐ বাজারে আগে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকার কাঠ, বাঁশ, সিমেন্ট ও বালু বিক্রি হতো। কিন্তু এখন ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলে, ‘আমাদের এখানে কাঠ, বাঁশ, বালি সিমেন্ট কিনতে আসে মূলত চরাঞ্চলের মানুষ। খালের মুখটি বাঁধ দিয়ে বন্ধ করায় মেঘনা, দাউদকান্দি, আড়াইহাজার, নবীনগর ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে আর কাঠ, বাঁশ কিনতে আসে না। এ ছাড়া ভাটিবন্দ, সাহাপুর, রগুভাঙ্গা, উদ্ববগঞ্জ, ভবনাথপুর, রতনপুর, হাবিবপুরসহ ১৫ গ্রামের মানুষের ব্যাবসায়িক, কৃষিকাজ, মাছ শিকার, ধান মিল মালিকরা চরম ভোগান্তিতে আছে।’

নান্নুর অপরিকল্পিত সেতুর কারণে গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকায় একটি অপরিকল্পিত সেতুর কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার চার গ্রামের বাসিন্দাদের। ওই এলাকার কান্দাপাড়া, মরবদী, বৈদ্যেরকান্দা ও কাজরদী গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা সদরে যাতায়াতে এ সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া আশপাশের আরও তিন-চারটি গ্রামের মানুষও এ সেতু দিয়ে চলাচল করে।

সেতুটির দুপাশ রাস্তা থেকে প্রায় ১২ ফুট উঁচু হওয়ায় এ সেতু দিয়ে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশাসহ ভারী কোনো যানবাহন চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সেতুর মূল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। বিশেষ করে রোগীদের যাতায়াত এবং এলাকাবাসী তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া করতে বিপাকে পড়েছে।

কান্দাপাড়া এলাকার মনির সিকদার বলেন, ‘এ সেতুটি আমাদের এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার ফসল কিন্তু নির্মাণত্রুটির কারণে এর সঠিক ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বেশ ভোগান্তিতে আছি।’

একই এলাকার কৃষক মোহন জানান, এ সেতুর অদূরে একটি প্রাইমারি স্কুল আছে। শিশুরা বেশ কষ্ট করে এ সেতু দিয়ে পার হয়। তাছাড়া জমি থেকে ফসল আনা-নেওয়ায় বেশ কষ্ট করতে হয়। 

উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের অবজ্ঞা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে নান্নু

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের অবজ্ঞা ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বক্তব্য রেখেছেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু। একই সঙ্গে তিনি চেয়ারম্যানদের ইঙ্গিত করে হুমকি ধমকি দেন। তিনি দাবি করেছেন সোনারগাঁও উপজেলার দশটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে এক পাল্লায় রাখলে আর সোনারগাঁও থানা যুবলীগের সভাপতিকে আরেক পাল্লায় রাখলেও সমান হবে না, সেখানে ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের চেয়ে থানা যুবলীগের সভাপতির ওজন অনেক বেশি হবে।

এছাড়াও তিনি আকার-ইঙ্গিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের হুমকি-ধমকি দিয়ে বলেন, আপনারা সাবধান হয়ে যান। গত শনিবার সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের এক কর্মীসভায় রফিকুল ইসলাম নান্নুর দেওয়া এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

নানা কাণ্ডে বির্তকিত, প্রত্যাশা করেন ‘নৌকা’!

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘শোক সভা’র আয়োজন করেছিল মাদকসহ ৫টি মামলার আসামী রাসেল। সেই সভাতেই অতিথি করা হয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নুকে। করবেনই না কেন, ওরা তো তারই লোক। আর চাদাঁবাজীসহ ১০ মামলার আসামী মাসুম চৌধুরীকে পুলিশের কাছ থেকে নিজ জিম্মায় ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ তো বহু পুরণই।

এমনটাই জানাচ্ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলার প্রবীন আওয়ামী লীগ কর্মী। কথা বলছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর নানা বির্তকিত বিষয়ে।

একই সময়ে উপস্থিত যুবলীগের এক নেতা মনে করিয়ে দিলেন, মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের সময় সেই রফিকুল ইসলাম নান্নুর সাথে হত্যা ও মাদক মামলার আসামীদের সঙ্গে থাকার কথা।

২০১৭ সালে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মনোনিত হন এই নেতা। এরপর উপজেলায় অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের নিজ বলয়ে নিয়ে দল ভারী করেন। জমি দখল, টেন্ডাবাজী, চাঁদাবাজীর নানান অভিযোগ এ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী, স্থানীয় নিবাসী ও নিজ দলের নেতাকর্মীদের। তারা বলছেন, ‘এখন ওনার খায়েশ জেগেছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার’।

বিভিন্ন সময় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে জেলা পরিষদ থেকে সোনারগাঁ পৌরসভায় ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী পূজা মন্ডপ রক্ষার্থে পঙ্খীরাজ খালের পশ্চিম পাশে একটি গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর মেসার্স নাদিম এন্টারপ্রাইজ কাজটি নিয়ে অতি নিম্নমানের সামগ্রী ও অব্যবহার যোগ্য পুরাতন ইট দিয়ে নির্মাণ করে। এ নিয়ে তখন ব্যাপক সমালোচনা সৃস্টি হয়েছিল।

এর আগে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও তাঁর স্ত্রীসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদার দাবীতে জমি দখল ও মারধরের অভিযোগ এনে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেন মো. মহসিন নামের এক প্রবাসী।

অন্যদিকে, ২০১৯ সালে ২৩ এপ্রিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও অফিস সহকারীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার কথা উল্লেখ করে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন খোদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনিও।