সোনারগাঁয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে মামলা

207


মোঃ মোক্তার হোসেন:-সোনারগাঁ নারায়নগঞ্জ থেকে-
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বেড়াতে এসে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ২৫ শিক্ষার্থী। গত শনিবার সন্ধ্যায় বেড়ানো শেষে ঢাকায় ফেরার পথে পানাম নগরীর পাশে আমিনপুর মাঠে তারা হামলার শিকার হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী ইসহাক মিয়া (২১) বাদী হয়ে আরিফ প্রধান (২৫) কে আসামী করে ১৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন নাঈম বলেন, সোনারগাঁয়ের পানাম সিটি ভ্রমণের শেষে র‍্যাফেল ড্রয়ের সময় তিতুমীর কলেজের মেয়ে শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বখাটে ইভটিজিং করে। এ সময় প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বখাটেদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে কলেজের উদ্দেশ্যে যখন বাস ছেড়ে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে হঠাৎ করে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাফি ও সুপ্তি গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।

তিনি আরো জানান, আমরা ৯৯৯-এ কল করলে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারা এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সম্মান প্রথমবর্ষের ৯০ শিক্ষার্থী গত শনিবার নারায়নঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে ও ঐতিহাসিক পানাম নগরীতে বেড়াতে আসেন। সারা দিন বেড়ানো শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকায় ফেরার পথে কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থী আমিনপুর মাঠে স্থানীয় দুর্বৃত্তদের ইভটিজিংয়ের শিকার হন। ছেলে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করায় প্রথমে ৩০-৪০ জনের একটি দল তাদের ওপর লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালায়। এতে মাসুদ রানা, সুপ্তি, হৃদয়, ইমরান, খুশি আক্তার, মিঠুন মিয়া, রাত্রী, নুসরাত জাহান, আদিল, আব্দুল খালেক, রাফি, শফিকুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, রিফাত ও বায়েজিদসহ ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন।

আহতদের মধ্যে সুপ্তি, ইমরান ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলার সময় স্থানীয়দের অনেকেই হামলাকারীদের পরিচয় জানতে পারলেও কেউ ভয়ে মুখ খুলছেন না।

সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। হামলাকারীদের চিনতে না পারায় তাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) আহসান উল্লাহ বলেন হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।