মামলার আসামী জামিনে এসে স্বাক্ষীকে হামলা

142


নিজস্ব প্রতিনিধি সোনারগাঁ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় চাঁদাবাজি মামলার আসামি জামিনে এসে মামলার স্বাক্ষীর উপরে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে মারধর করে বলে জানা যায়।
জানা যায় গত ০৭/০৩/২০২৩ইং তারিখে বেলা ১১-৩০ঘটিকায় হাড়িয়া গোবিন্দী এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় ৮ মার্চ বুধবার দুপুরে প্রবাসী খোরশেদ আলম এর বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে এবং বাগানের লিচুর মুকুলসহ লিচু গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

এই ঘঠনায় প্রবাসী খোরশেদ আলম এর স্ত্রী নুর জাহান বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার ১নং আসামী আব্দুল মতিন সাং সাতভাইয়া পাড়া ২ নং আসামী মনির, ৩ নং আসামী লিয়াকত আলি,সাং ছয়হিস্যা সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে,
অজ্ঞাত ৫/৭জনকে আসামী করে মামলা থানায় দায়ের করে মোসাঃ নুর জাহান।

মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ্য করে, উপজেলা বৈদ্দ্যের বাজার ইউনিয়নের
হাড়িয়া এলাকায় গত এক বছর আগে প্রবাসী খোরশেদ আলম ২১শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছে। সম্প্রতি ঐ এলাকার সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল মতিন ও তার সহযোগী সঙ্গ পাঙ্গরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ৮ মার্চ বুধবার ১নং আসামী আব্দুল মতিনের সহযোগী,২নং আসামী মনির হোসেন
৩নং আসামী লিয়াকত আলি, আরিফ মিয়াসহ ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে, জমির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে,
জমিতে থাকা মুকুল সহ ১০ টি লিচু গাছ কেটে ফেলে এবং চাঁদার টাকা না দিলে পুরো লিচু বাগানের গাছ কেটে ও পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে যায়।

প্রবাসী খোরশেদ আলমের স্ত্রীর নুর জাহান জানান,আব্দুল মতিন আমাদের কাছে জমি বিক্রি করেও অনৈতিকভাবে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আমাদের সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে মুকুল সহ অনেক গুলো লিচুর গাছ কেটে ফেলে দিয়ে যায়।
এতে করে আমাদের প্রায় দুই লাখ টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সোনারগাঁ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২নং আসামী মনির মিয়া ও ৩নং আসামী লিয়াকত আলিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন।

৩নং আসামী লিয়াকত আলি জামিনে এসে
মামলার ২নং স্বাক্ষী সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের অহিদুল্লাহ পিতা মৃত আসমত আলি,
১৩/৩/২০২৩ ইংরেজি সকাল ১১ ঘটিকার সময়
আসামী লিয়াকত আলি ও তার দুই ছেলে ১/মাসুম ও ২/মেহেরাজ পিতা লিয়াকত আলিসহ, মামলার স্বাক্ষী অহিদুল্লাহকে একা পেয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে।
এতে স্বাক্ষী অহিদুল্লাহ মারাত্মকগুরুতর ভাবে আহত হয়।
পরে অহিদুল্লাহ মিয়ার ডাক চিৎকারে আশেপাশের মানুষ এগিয়ে এলে লিয়াকত ও তার ছেলেরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় জনগন আহত অহিদুল্লাহ মিয়াকে সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস আই ওবায়দুল এর কাছে জানতে চাইলে,
তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,
এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।