তথ্য আইনে ডিসির নিকট তথ্য চেয়ে না পেয়ে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপীল

158

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়নগঞ্জ’র জেলা প্রশাসকের নিকট তথ্য আইনে তথ্য চেয়ে না পেয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপীল করেছেন অপরাধ বিচিত্রার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ। বিগত ০৯/০২/২৩ তারিখে তথ্য প্রাপ্তির আবেদনপত্র ফরম “ক”তে আবেদন করে ৩০ কার্যদিবসে তথ্য না পেয়ে ১৬/০৩/২৩ তারিখে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করছেন সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ সভাপতি জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা।   

সুত্রমতে ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন জেলা প্রশাসক বরাবরন ১৯/০১/২৩ ইং তারিখে তার জমিসহ সরকারী জমিতে জবর দখল করে অবৈধভাবে আদালতের আদেশ আমান্য করে কাদিরগং পাকা স্থাপনা নির্মান করে। উক্ত নির্মান অপসারনের সহয়তার জন্য আবেদন করেছিলেন অসহায় আমজাদ হোসেন কিন্তু জেলা প্রশাসক কোন সহয়তা না করায় বিগত ০৪/০৩/২৩ তারিখে ভুক্তভোগী জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাইন্ডেশনের চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ বরাবর দুর্নীতি প্রতিরোধে ও আইনি সহয়তার জন্য আবেদন করে। আবেদনটি সংস্থার চেয়ারম্যান লিখিতভাবে সংস্থার নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে ঘটনাটি দেখার দায়িত্ব অর্পন করেন এবং তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলেন।

সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা দায়িত্ব পেয়ে আবেদনের কপি জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজকে তার মোবাইলের হোয়াটস অ্যাপে প্রেরন করে তার নিকট সাক্ষাৎকারের জন্য সময় নির্ধারন করেন ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা। সে মতে সাক্ষাৎকারের জন্য ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেনকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের অফিসে সাক্ষাত করেন। ডিসি মঞ্জুরুল হাফিজ তাৎক্ষনিক সি এ ডেকে তার অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেটকে ডাকতে বলেন। সিএ ফিরে এসে বলে, “স্যার, স্যারতো এজলাসের কাজে ব্যস্ত আছেন, তাই কথা বলতে পারি নাই।“ ডিসি মঞ্জুরুল হাফিজ তখন সিএকে বলেন,’’ ম্যাজিস্ট্রেটকে বল আজকেই গিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিতে, আর উনাদের নাম ও নাম্বার রাখ।”

অতপর ডিসি ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেনকে বলেন,“ যান ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি, যদি অবৈধভাবে স্থাপনা করে থাকে, তাহলে আজকেই ভেঙ্গে দিবে।“

ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন সিএ এর রোমে আসলে তার নিকট আবেদনের কপি চায়, ভুক্তভোগী বলে,”আমার কাছে এখন নাই, তবে বাসায় আছে, আর আপনাদের ফাইলএ তো কপি আছে। তখন সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ তার মোবাইলে আছে বলেন এবং আবেদনের কপি পিএস রাহমান এর মোবাইলের হোয়াটস আপে প্রেরন করেন এবং পিএস রহমান ২টি কপি প্রিন্ট করে দেয়। কপি ২টি সিএ আতিককে বুজিয়ে দিয়ে গিয়ে সাংবাদিকের সাথে কিছু কথা কাটাকাটি হয় বলে জানান আমজাদ হোসেন।“

৩০ মিনিট পর আমজাদ হোসেনকে কল করে ডিসির সিএ বলে,’’ আপনারা খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে আপনাদের কাজ আর করা হবেনা।‘’

ভুক্তভোগীর প্রশ্ন, আমরা তো কোন খারাপ ব্যবহার করি নাই, বরং সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ আবেদনের কপি দিয়ে সহয়তা করেছে। তাদের ফাইল তারা খুজে পায় নাই বিধায় সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ আবেদনের কপি দিয়ে সহয়তা করেছে কিন্তু কিসের জন্য আমি সেবা বঞ্চিত হইলাম?

তথ্য ফরমে তথ্য যা চেয়েছেনঃ

১)আবেদনের প্রেক্ষিতে কি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যদি নেওয়া হয় তাহলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,

  তার তথ্য

২)যদি না নেওয়া হয়, তাহলে কি কারনে নেওয়া হয় নাই তার তথ্য দেওয়ার জন্য বিশষভাবে অনুরোধ

  করা হল।

বঙ্গ বন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে এবং দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখার জন্য সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করি।