ডাম্পিং নামের জেলখানা থেকে মুক্তি চায় অসহায় অটোরিক্সা চালকরা

209

বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া পুলিশ ফাড়ি, যা বর্তমানে ডাম্পিং নামে চিনে সবাই। ঈদকে পুজি করে অসহায়দের গলা কেটে সেখানে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার বানিজ্য। অসহায় গরীব মিশুক চালকদের মিশুক আটকিয়ে এটিএসআইরা হাতিয়ে নেয় হাজার টাকা, এই টাকা নেওয়ার কোন প্রমান দেওয়া হয় না, দেওয়া হয় না কোনো রসিদ। খোজ নিয়ে দেখা মিলে সাংবাদিক, পুলিশ,তাদের সোর্সের গাড়ি ছাড়া ডাম্পিং এ শুধু অন্যান্ন গাড়িই নিয়ে আসা হয়, কেও কেও বলে চেকপোস্ট ছাড়া এ টিএসআইদের রাখা মাদকাসক্ত ক্যাডাররা হেটে গিয়েও জোড় করে গাড়ি নিয়ে আসে। গাড়ি দিতে না চাইলে তাদেরকে মারধর করে গাড়ি আনা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মজিবর,হাবিব,সুমন অটো- ডাইভাররা বলে তারা সামনে ঈদ দেখে হেটে হেটেও গাড়ি ধরে, রুগি নিয়ে আসলেও রুগি নামিয়ে দিয়ে গাড়ি ধরে, কার্ড ওয়ালা গাড়ি ছেড়ে দিলে সেটা বলতে গেলে পুলিশগুলো গালা গালি করে, মাঝে মাঝে তো গায়েও হাত তুলে। নজরুল নামের একজন ড্রাভার বলে, “আমরা গাড়ি চালাই বলে কি মানুষ না? যদি শহরে গাড়ি ডুকা নিষেধ হয় তাহলে কোনো গাড়ি ডুকবে না, হেরা কার্ডের গাড়ি ডুকতে দেয় আমরা ডুকলেই দোষ, কার্ডের গাড়ি মাঝে মাঝে নিয়া আসলে তখন ওপর থেকে ফোন দিলে হাফ বিল বা (মাগনা)ফ্রী গাড়ি ছাড়ে কিন্ত আমাগোটা ছাড়তে গেলে পকেট চেক করে টাকা রেখে দেয়, আবার বাসা থেকে এনে দিতে হয় ১০০০ টাকা। হেরা পুলিশ হেগো লগে কথা কওন যায় না।

হেগো ঈদ আছে আমাগো ঈদ নাই, পরশু দিন তো হুনছি এক পুলিশে পেসেনজারকে মারছে কেয়ার হাসপাতালের সামনে। তাইলে বুঝেন পুলিশে পেসেনজাররে মারে আমরা কথা কইলে আমাগো কি করবো। আমরা গরিব মানুষ হের লেইগা কিছু কইতে পারি না, টানা ৩ দিন আমার গারিটা ধরছে শহিদুল স্যারেরে কইলাম, হেয় কয় যা আজকে হাফ বিল কইরা লইয়া যা,আমি দুই দিন ১ হাজার কইরা ২ হাজার টাকা ধার করছি এখন আবার ৫ শ টাকা কই পামু। সকালে বের হইয়াই মাএ ৫০ টাকা খেপ মারছি ওমনেই গারিটা ধরছে, হেগো বিচার আল্লাহ করবো বলেই কান্নায় ভেঙে পরে এই গরীব ড্রাইভার।”

প্রত্যেক্ষ দর্শীরা জানান, এই ভুক্তভোগী ড্রাইভার যা বলেছে তা সত্য, সিন্ডিকেটের সাংবাদিক ও ট্রাফিক পুলিশের সোর্সরা এগুলি করছে।

অটোরিকশা মালিকগন এই জুলুমের বিচার চায়, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে।