আওয়ামী লীগের পদ পেতে দুই সহোদরের দৌড়ঝাপ 

114

সোনারগাঁও প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সোনারগাঁও থানা পর্যায়ের কমিটি গঠনে সময় বেঁধে দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। সময় বেশি না থাকায় কমিটি গঠনে চলছে তোড়জোড়। এই সুযোগ কাজে লাগানোর সুযোগ খুঁজছেন বিতর্কিত নেতারা। অর্থের বিনিময়ে পদ বাগিয়ে নিতে লবিং করছেন অনেকে এমন অভিযোগ উঠেছে। জেলা ও থানা পর্যায়ে কমিটি গঠনে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতারা।

সাংগঠনিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সময় অনুযায়ী কমিটি করতে না পারায় নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কমিটি গঠন করতে তিনি সময় বেঁধে দিয়েছেন।

সময় বেঁধে দেওয়ার পর থেকে সোনারগাঁও উপজেলার বিতর্কিত নেতারা আবারও তৎপর হয়ে উঠেছেন। এমনকি টাকার বিনিময়ে ৩২৬ ধারার মামলার আসামি, নব্য আওয়ামী লীগার, বিত্তশালী  সাদীপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব  মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠ জন আলী হোসেন ও তার সহোদর বিএনপির ডোনার জাকির হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সোনারগাঁও থানা পর্যায়ের কমিটি গঠনে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে । 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ নেতারা জানান,বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে সোনারগাঁ উপজেলার বিএনপি নেতা ছিলেন আলী হোসেন ও ডোনার ছিলেন তার সহোদর জাকির হোসেন তার নিজ এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে তান্ডব চালিয়েছিলো।তারা কি করে জেলা ও থানার পদ ভাগিয়ে নিতে চায়।

অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালুর সাথে ঘনিষ্ঠতম ছবি ভাইরাল হয় দুসহোদর এর। ছবি ভাইরাল হওয়ার পর নিন্দার ঝড় উঠে উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। 

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া বলেন,বিএনপির কোন লোক আওয়ামী লীগে ঠাই নেই,আওয়ামীলীগে কোন হাইব্রিড কাউয়াদের ঠাই হবে না।আমি যতটুকু জানি জাকির হোসেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তবে তার সহোদর আলী হোসেন বিএনপির নেতা ছিল কিনা আমার জানা নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি ভাইরালের বিষয়ে তিনি কোন কর্ণপাত করেননি।