মাদক বিক্রি এবং মাদক সেবনে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ডেনড্রাইড আটা, গাজা, টিটি, ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদক দ্রব্য হাজীগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান সময়ে মাদক সমাজের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে ঢুকে পড়েছে। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে বেকার যুবক, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ীরাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
মাদক সেবন এবং বিক্রি বন্ধ করতে মাদকের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ভ্রাম্যমান আদালত, র্যাব এবং পুলিশের অভিযানের কারণে অধিকাংশ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা সম্ভব হলেও কিছু মাদক ব্যবসায়ী থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
বর্তমান সময়ে মাদক বিক্রেতারা ভিন্ন ভিন্ন রুপ নিয়ে মাদক বিক্রি করছে। কেউ কেউ পুলিশ-প্রশাসনের সোর্স পরিচয়ে মাদক বিক্রি ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের অব্যহত অভিযানের প্রেক্ষিতে ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জ এলাকার চিহ্নিত বেশ কয়েকটি মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক স্পর্ট কিছুটা নির্মূল হলেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ী নূর ইসলাম ওরফে নইচ্ছা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী নূর ইসলাম ওরফে নইচ্ছাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে জামিনে বের হয়ে আবারো মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন নইচ্ছা।
হাজীগঞ্জ মুলিবাশের মোড়ে পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক কারবারি নূর ইসলাম ওরফে নইচ্ছা জেল থেকে বেরিয়ে এখন সিন্ডিকেট বানিয়ে প্রকাশ্য মাদক বিক্রি করছে যা একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ফলে যুবকদের বুক ফুলিয়ে হাজীগঞ্জের অলিগলিতে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। হাজীগঞ্জ এলাকার রফিকের চা দোকানের সামনে সন্ধ্যার পর দেখা যায় আড্ডা যেখানে বসে কৌশলে মাদক ব্যবসায়ী নইচ্ছার মাদক বিক্রি।
গোপন সূত্রে জানা গেছে,পুলিশের সোর্স পাইকপাড়া এলাকার নওফেল এর শেল্টারে মাদক ব্যবসায়ী নুর ইসলাম ওরফে নইচ্ছা মাসোয়ারার বিনিমিয়ে হাজীগঞ্জ এলাকায় দেদারসে মাদক বিক্রি করে বেড়াচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, আসলে মাদক এই রাষ্ট্র ও সমাজের মারাত্মক একটি ব্যাধি। নুর ইসলাম আসলেই একজন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী। সে হাজীগঞ্জ এলাকায় নিজের বাস-ভবনে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে প্রকাশ্য মাদক বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসা করেই নুর ইসলাম কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। পুলিশ একাধিকবার গ্রেফতার করলেও টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে আবার সেই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরে। বর্তমান যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আযম মিয়া বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী যত শক্তিশালিই হোক না কেনো তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান ওসি।