সাংবাদিক মিঠুর উপর সন্ত্রাসী হামলা

302

নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিডিপি টেলিভিশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর প্রতিনিধি ও দৈনিক সত্যের ডাক অনলাইন নিউজ এর সম্পাদক মোঃ মিঠু আহম্মেদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে মাদক কারবারি অঞ্জন নামে একজন কথিত পুলিশের সোর্স।

সন্ত্রাসী অঞ্জন নারায়ণগঞ্জ জিমখানা বস্তির কালামের ছেলে ও জুয়ার আসর পরিচালনাকারী আনিসের ছোট ভাই।

শনিবার (১ জুলাই শনিবার) সন্ধা আনুমানিক ৬টা/৬.৩০ এর আশে পাশে সাংবাদিক মোঃ মিঠু আহম্মেদ নিজ বাসা থেকে বের হয়ে শশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মসজিদের সামনে গেলে হঠাৎ করেই দেখতে পান কিছু লোক মসজিদের নিচে থাকা সিটি করপোরেশন নির্মানাধীন মার্কেটের নাহার কনফেকশনারি ফটকের সামনে ফিরোজ হোসেনের দোকানের বরাবর সন্ত্রাসী অঞ্জন দাড়িয়ে আছে তা দেখে সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে সাংবাদিক মিঠু আহম্মেদ ওপর সাইড দিয়ে চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী মাদক কারবারি জুয়ার আসরের দালাল অঞ্জন তাকে ডাক দেয় এবং সাংবাদিক মিঠু আহম্মেদ হামলার কথা চিন্তা করে ডাক না শোনার ভান করে চলে যেতে চায় ঠিক তখনই সন্ত্রাসী অঞ্জন পিছন থেকে এসে প্রথমে মিঠু আহম্মেদের কলার দরে টান দিয়ে জঘন্য ভাসায় গালাগালি করতে থাকে, আর বলে তোরে তো এখন মাইরা লামু, তুই আমার নামে নিউজ করছোচ, না কি করতে পারছচ আমার দেখি, এখন তার কোন বাবায় তরে বাঁচায় বলে এলোপাতাড়ি চার থাপ্পড় মারতে থাকে। সাংবাদিক মোঃ মিঠু আহম্মেদ নিজ জান হেফাজতের জন্য সন্ত্রাসী অঞ্জন কে ধাক্কা দিয়ে ঘটনা স্থল থেকে দৌড়িয়ে চলে আসে। সে সময় সাংবাদিক মোঃ মিঠু আহম্মেদ এর কাছে থাকা একটি sumsang মোবাইল ফোন ও তার গলায় থাকা আটা আনার ওজনের ২৪ কেরেটের একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসী অঞ্জন। সে সময় রাস্তায় অনেক মানুষ উপস্থিত ছিল কিন্তূ কেওই সন্ত্রাসীদের ভয়ে এগিয়ে আসে নাই। পরর্বতিতে নিজ হেফাজতে গেলে তার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় প্রাথমিক ভাবে ফার্মাসি থেকে ঔষধ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে কথা বলে বাড়িতে ফিরে আসে । তার সঙ্গে কথা বলা কালে সে সংবাদ মাধ্যমকে জানায় যে, আমি আমার এই ঘটনার বিষয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যাতে সন্ত্রাসী অঞ্জনের বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ নিতে পারি কিন্তূ পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসীদের হামলার কথা চিন্তা করে আমাকে বলেছে এরা সমাজের চিন্তিত মাদক কারবারি ও জুয়ার আসর পরিচালনাকারি এদের অনেক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ আছে আমরা মামলা করতে গেলে দেখবো যে মামলাতো নিবেই না বরং সন্ত্রাসীদের কথাই বলবে। এদিকে যদিও মামলা নেন তাহলে সন্ত্রাসী অঞ্জন আবার হামলা করে কিছু করে ফেলতে পারে তাই আমি আমার পরিবারের সদস্যদের কথা মতোই মামলা করিনি। উল্লেখ যে মাদক কারবারিদের নিয়ে সাংবাদিক মোঃ মিঠু আহম্মেদ ২২জুন একটি সংবাদ প্রকাশ করেন এবং পরর্বতিতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বেশ কয়েকটি অনলাইন ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদটি প্রকাশিত হয় আর এই সংবাদ প্রকাশের জন্যই মুলত আজকে সাংবাদিক মোঃ মিঠু আহম্মেদের উপরে সন্ত্রাসী অঞ্জনের হামলা।

সাংবাদিক মোঃ মিঠু আহম্মেদ এই হামলার কথা চিন্তা করে কিছুদিন আগে তার ফেজবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট ও করেছিল সেখানে সে বলেছিল আমাকে কিছু লোক যে কোনো সময়, যে কোনো কিছু একটা করে ফেলতে পারে। অপরাধ বিটে কাজ করতে গিয়েই আজ আমার এতো শত্রুর আক্রমণের আশংকা করতে হচ্ছে। জানি না কখন কি হয়ে যায় আমরা সঙ্গে। যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারি আমি এমনো হতে পারে মাদক,মামলায় ও ফাঁসানো হতে পারে। কিংবা অন্য কোনো মামলা হামলার শিকার এর কথাও তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেছিল। এখন একটাই কথা তার তাহলে কি এ ধরনের মাদক কারবারি ও জুয়ার আসরের দালালদের থেকে সাংবাদিকেরা এইভাবেই নির্যাতন মেনে নিবে। যদি সঠিক সময়ে এদের বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ গ্রহন করতো নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন তাহলে আজ আমার উপর এ হামলা হতো না। এটাই কি আমার দোষ যে সমাজের ধংশ হতে যাওয়া যুবকদের বিষয়ে চিন্তা করে সমাজ থেকে মাদক নামক মরন নেশার কারবারিদের আইনের আওতায় নিতে চাওয়া। আমি চাই যে অনতিবিলম্ব মাদক কারবারি ও জুয়ার আসরের দালাল অঞ্জন ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক।