নারায়ণগঞ্জের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এসএসআই)’র তথ্যের ভিত্তিতে বন্দর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডা. এমএম রহমান আল-মাহবুবী নামে এক ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৬ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মনিষা রানী কর্মকার বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় অভিযান করে আল-মাহবুবীর নিজস্ব চেম্বার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
জানা গেছে, ডা. এমএম রহমান আল-মাহবুবী ভূয়া পদবী ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় মেডিকেল ডাক্তার হিসেবে মানুষকে সেবার দেয়ার কথা বলে প্রতারনা করে আসছে। প্রতারক নয়ন তার চাচার ফার্মেসীতে দীর্ঘদিন সহকারী হিসেবে কাজ করার পর বন্দরে আমিন আবাসিক এলাকায় ৩ নং গলিতে জাকির মিয়ার বাড়িতে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে এমবিবিএস ডাক্তার বলে প্রচার করে এবং রোগী দেখা শুরু করেন।
তিনি তার ব্যবহৃত প্যাডে এমবিবিএস, সিএমএস, এমপিএইচ, ডিপ্লোমা ইন রেসপিরেটরী মেডিসিন (ওআইইউ), লাইভ ষ্টাইল ম্যানেজমেন্ট কোর্স অব কার্ডিওলজী (ইন্ডিয়া), ব্রেইন এন্ড মেন্টাল হেলথ ট্রেইনেড( বিএমএইচ, এইউকে), প্রেকটিক্যাল কোর্স অন ডায়াবেটলজী (কলকাতা), বিএলএস ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন (বারডেম), সিপিআর ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (মেডিসিন সিএন জনস্বাস্থ্য) এসব ভূয়া ড্রিগ্রি পদবী ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন রকম অনুমোদক ব্যাতিরেকেই এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে চেম্বার খুলে নিয়মিত রোগী দেখতেন।
গোপন সুত্রে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এসএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে বন্দর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় ৬ জুলাই সকাল ১০ টায় ডা. এমএম রহমান আল-মাহবুবী নামে এক ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাসের সাজা প্রদান করে পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিকা রানী কর্মকার সাংবাদিকদের জানান, প্রতারক চিকিৎসক এমবিবিএস ডাক্তার হওয়ার কোন বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় ভ্রাম্যমান আদালত বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ২০১০ এর ২৯ ধারা মোতাবেক ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। প্রতারক চিকিৎসককে অর্থ দন্ড অনাদায়ে ৬ মাসের জেল প্রদান করা হয়।