সোনারগাঁয়ে ডিভোর্সের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর যৌতুক মামলা

374


মোঃ মোক্তার হোসাইন:নারায়নগঞ্জ সোনারগাঁ –

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের আব্বাস আলী মেম্বারের ছেলে জোবায়েদ রানা গত ১৭/০২/২০২৩ইং তারিখে মোগরাপাড়া ইউপির বড়নগর গ্রামের আলমাসের কন্যা আরিফা আক্তার লিজাকে সাড়ে চার লক্ষ টাকার দেনমোহড় ধার্য্য করে কাজীর মাধ্যমে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিয়ে করেন। বিয়ের দিন স্ত্রী আরিফা আক্তার লিজা তার পিত্রালয়েই ছিলেন। বিয়ের পরের দিন স্বামী জোবায়েদ রানা শশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী আরিফা আক্তার লিজার পূর্বে আরো একটি বিয়ে হয়েছিল। সেখান থেকে সাবেক স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করেছে। প্রথম বিয়ে গোপন করায় স্ত্রী ও শশুর বাড়ীর লোকজনের উপর সন্দেহ হলে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন স্বামী জোবায়েদ রানার মা ফাতেমা বেগম। অভিযোগ তদন্ত করে সোনারগাঁও থানার পুলিশ কর্তকর্তা মোতালেব এর সত্যতা পান। পরবর্তীতে ঘটনা মীমাংশার জন্য উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে এনে পূনরায় বিয়ের কাবিনননামা ঠিক করে আবারো ঘর সংসার করতে উভয় পক্ষকে পরামর্শ দেন। কিন্তু এতে কনের পরিবার স্বামী জোবায়েদ রানাকে জোর পূর্বক বিশ লক্ষ টাকা কাবিন করতে বলেন। অন্যথায় পূর্বের কাবিনের সাড়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করা হয় জোবায়েদ রানার পরিবারের কাছে। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের সাথে বনিবনা না হওয়ায় স্বামী জোবায়েদ রানা গত জুন মাসের ৭ তারিখে একই কাজির মাধ্যমে স্ত্রী আরিফা আক্তার লিজাকে ডিভোর্স দেন।
এদিকে স্বামী জোবায়েদ রানা কনে পক্ষের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় এবং ডিভোর্স দেয়ায় স্ত্রী আরিফা আক্তার লিজা বাদী হয়ে স্বামী জোবায়েদ রানা, মা ফাতেমা বেগম, বোন কনিকা আক্তার, বোনের স্বামী শিবলী ও কনের খালু স্বপনের নাম উল্লেখ করে গত জুন মাসের ১৮ তারিখে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতে হাজির হয়ে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের দু’টি মামলা দায়ের করেন।
রাহুলের মা ফাতেমা বেগম জানান, আমার ছেলে জোবায়েদ রানা, মেয়ে কনিকা, মেয়ের স্বামী শিবলী সহ আমরা ছেলের বউকে কোন মারধর করিনি এবং কোন যৌতুকও দাবি করিনি। আমরা জানতামনা যে কনে আরিফা আক্তার লিজার পরিবার বিয়ের নামে এভাবে নিরব চাঁদাবাজি করে। এর আগেও সে সাবেক স্বামীকে তালাক দিয়ে দেনমোহড়ের টাকা আদায় করেছে। আমার ছেলে জোবায়েদ রানার স্ত্রী আবারো পূর্বের ন্যায় দেনমোহরের টাকার লোভে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর সংশোধন ২০০৩ এর ১১- এর গ ধারায় দু’টি মামলা দায়ের করে। আমরা মাননীয় আদালতের কাছে এর সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার দাবি করছি।