সোনারগাঁয়ে দিন দিন বাড়ছে ডাকাতি

182


মোঃ মোক্তার হোসাইন: নারায়নগঞ্জ- সোনারগাঁ-

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গত ২ মাসে ১৫টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা এসব বাড়ির প্রধান ফটক ও দরজা ভেঙে ১০ লাখ টাকা ৩২ ভরি স্বর্ণাংকার ৫টি হিরার আংটি ও ৭টি মোবাইল ফোনসেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেছে ডাকাতরা। এ ঘটনায় পৃথক অভিযোগ হলেও পুলিশ কোন ডাকাতকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

উপজেলার উত্তরাঞ্চলের জামপুর, নোয়াগাঁও ও পিরোজপুর ইউনিয়নে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই মাসে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িসহ ১৫টি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এরপরও প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুলিশ। তালতলা বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপিত হলেও অপরাধপ্রবণতা কোন কিছুতেই কমছে না।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে ঝালকান্দি গ্রামে হানা দেয় ১২ থেকে ১৫ জন সশস্ত্র ডাকাত। আড়াইটার দিকে প্রথমে তারা হানা দেয় ওই গ্রামের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আল আমিনের বাড়িতে। তারা বাড়িটির কলাপসিবল গেট ও দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে নগদ ৫ লাখ টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও হিরার ৫টি আংটি লুট করে।

পরে ওই ডাকাতরা প্রতিবেশী ইকবাল হোসেনের বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রী চায়না বেগমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে হাত-পা বেঁধে আলমারিতে গচ্ছিত নগদ দুই লাখ টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। সেখান থেকে ইকবালের ভাই সাইফুল ইসলাম চঞ্চলের বাড়িতে ঢুকে ডাকাতরা। চঞ্চল ও তাঁর স্ত্রী নুরজাহানের হাত-পা বেঁধে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার লুটে চলে যায় ওই দুর্বৃত্তরা।

রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাশের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে হানা দেয় ডাকাতদল। তারা ওই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল আজিজের বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। সেখান থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণ লুটে নেয়।

এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামে সাঈদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর পরের দিন বুধবার রাতে একই গ্রামের প্রবাসী ফেরত এক প্রিকাপ ভ্যান চালক দেলোয়ারের বাড়িতে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণাংকারসহ ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর আল আমিনের বাবা দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেশী ইকবাল হোসেন ও পিরোজপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার সোনারগাঁ থানায় পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ পরিদর্শক(ওসি) তদন্ত আহসান উল্লাহ বলেন, অভিযোগ দুটি গ্রহণ করেছেন। তারা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছেন। ডাকাতিতে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।