নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডিডিপি টেলিভিশন এর নারায়নগঞ্জ জেলা সদর প্রতিনিধি ও সত্যের ডাক অনলাইন নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ মিঠু আহম্মেদের নামে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করে নারায়ণগঞ্জ শহরের চিন্তিত মাদক কারবারি ও জুয়ার আসরের দালাল অঞ্জনের বাবা কামাল। সুত্রে জানা যায়, যে জুন মাসের ২২ তারিখ সাংবাদিক মোঃ মিঠু আহম্মেদ মাদক কারবারি অঞ্জনের মাদক বানিজ্যের অনুসন্ধান শেষে একটি নিউজ প্রকাশ করে এবং সেই নিউজের পর পর নারায়ণগঞ্জের ও ঢাকার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে মাদক কারবারি অঞ্জনের মাদক বানিজ্যের নিউজটি প্রকাশ হয়। এ ঘটনার জেরে মাদক ব্যবসায়ি অঞ্জন ১ জুলাই সাংবাদিক মোঃ মিঠু আহম্মেদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলা করে। তার পর ও সাংবাদিক মোঃ মিঠু আহম্মেদ মাদক কারবারি অঞ্জনের মাদক বানিজ্যের অনুসন্ধানে নামে এবং নিউজ ও করে। কিন্তূ এরই মাঝে মাদক কারবারি অঞ্জন এর মাদকের বানিজ্যে পাটর্নারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে ৭ জুলাই রাত আনুমানিক সময় দশ টার দিকে তার মাদক বানিজ্যের সহযোগীদের হাতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন মাদক কারবারি অঞ্জন। এবং এই ঘটনার দুই দিন পর ৯ জুলাই রাতে মাদক কারবারি অঞ্জনের বাবা কামাল নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। যেখানে মাদক কারবারি অঞ্জনের বাবা কামাল উল্লেখ করে, ৭ জুলাই রাত আনুমানিক দশ টা ত্রিশ এর সময় আমার ছেলে অঞ্জন বাসায় ফেরার পথে রনদা প্রসাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গেলে, সন্ত্রাসীরা আমার ছেলের পথে আটকিয়ে ১নং বিবাদী ৪নং বিবাদীর হুকুমে আমার ছেলের গাড়ে ও মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আরেক জায়গায় লেখা ৪নং আসামির হাতে থাকা দা দিয়ে আমার ছেলের হাতে ও পায়ে কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং তার গলায় থাকা দের ভরী ওজনের সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনার বিষয় সাংবাদিক মিঠু আহম্মেদকে জিজ্ঞেস করলে মিঠু গণমাধ্যম কর্মীদের বলে ভাই যেই দিনের ঘটনা উল্লেখ করে আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে সেই দিন আমি বিকেল আনুমানিক ৪টার সময় থেকে রাত ১১.৪৯মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জ রসুল বাগ এলাকায় অন্ধ প্রজেক্ট এর সভাপতি বোরহানের উপর সন্ত্রাসী হামলার সঠিক বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমি সহ আমার সঙ্গে জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকার ও সত্যের ডাক অনলাইন নিউজের আরো দুই জন সাংবাদিক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই কামাল ও তার সঙ্গে থাকা অন্য একজন কনস্টেবল সহ চিটাগং রোড এলাকার রসুল বাগ অন্ধ প্রজেক্ট এ উপস্থিত ছিলাম এবং আমি সে বিষয়ে সকল প্রকার প্রমান দিতে পারবো। তাহলে আমি কি করে মাদক কারবারি অঞ্জন এর উপরে সন্ত্রাসী হামলা করেছি তাও আবার রাত দশ টার সময় আমি কি একই সময়ে তাহলে দুই স্থানে উপস্থিত ছিলাম। আসলে আমি সমাজের যুবকদের জীবন মরন নেশার কবল থেকে রক্ষা করার জন্য মাদক কারবারি অঞ্জন এর মাদক বানিজ্যের বিষয়ে নিউজ প্রকাশ করি এবং মুলত এজন্যই আমাকে দমন করার জন্য এই মিথ্যা বানোয়াট মামলায় ফাঁসানো হয় আমাকে। মিঠু আরো বলে, আমার নামে অভিযোগ এর পর নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম কোনো প্রকার প্রমান ও তদন্ত ছাড়াই মাদক কারবারি অঞ্জন এর কথায় মামলা দায়ের করে। আমি এ বিষয়ে সঠিক বিচারের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মহাদয়ের কাছে একটা লিখিত অভিযোগ করবো এতেও যদি আমার নাম বাদ না দেন তাহলে আমি বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপির নিকট লিখিত অভিযোগ করবো এবং সাথে সাথে মহামান্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহাদয়ের নিকট সম্পূর্ণ প্রমাণ সহকারে লিখিত অভিযোগ করবো ইনশাআল্লাহ। সাংবাদিক মোঃ মিঠু আহম্মেদ তিনি এই মিথ্যা মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার ও মাদক কারবারি অঞ্জন এর বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ গ্রহন করতে অনুরোধ করে।