নিজস্ব প্রতিনিধি: মাসুম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কুতসা রটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সময়ের চিন্তা পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ।
একজন সম্মানীত ব্যক্তি ইঞ্জিনিয়ার মাসুম চেয়ারম্যান। যিনি মানুষের কল্যানে কাজ করে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে নির্যাতিত, নিপীড়িত এবং সমস্যাগ্রস্ত মানুষ সহ সুশীল সমাজের মন জয় করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছেন। তার ভালো কাগজগুলোই মানুষরূপী কিছু অমানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সেই অমানুষের দল
ফেসবুকে ভয়েজক্লোন করে সম্মানীত ব্যক্তির সম্মানহানি এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে একটি অডিও ফেসবুকে আপলোড করেছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়, ঘৃণিত ও ন্যাক্কারজনক কাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন সম্মানীত মানুষের সম্মানহানির অপচেষ্টাকারী দুমুখো মানুষদের ঘৃণা ও ধিক্কার জানাই।
যারা এসব করছে তারা সমাজের শত্রু, মানুষের শত্রু দেশের শত্রু এবং অন্যের সম্পদ ও সম্মান অনিষ্টকারী দু’মুখো মানুষ। যারা বন্ধুর বেশে কাঁধে হাত রেখে বুকে ছুড়ি চালায়। সামাজিকভাবে তারা সমাজের নিকৃষ্ট কীট।
এসব কুৎসিত মানসিকতার অপপ্রচারকারীদের বিষয়ে ইসলাম কি বলে:-
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, মানুষের মধ্যে দুই রূপধারী লোক সবচেয়ে নিকৃষ্ট। যে এই দলের নিকট আসে এক রূপ নিয়ে এবং অন্য দলের নিকট আসে অন্য আরেক রূপ নিয়ে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫২৪)। এ ধরনের মানুষ আমাদের চারপাশে অনেক পাওয়া যায়, যারা আমাদের বন্ধুর বেশে ক্ষতি করে বেড়ায়।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ! যদি কোনো ফাসেক (অবিশ্বাসযোগ্য, দুশ্চরিত্র, দুষ্টু) তোমাদের কাছে কোনো বার্তা নিয়ে আসে, তাহলে তোমরা তা যাচাই করে দেখ, এ আশঙ্কায় যে, অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে বসবে, ফলে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য তোমাদের অনুতপ্ত হতে হবে। সুরা আল হুজুরাত : ৬
কোরআন মাজিদে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তুমি আনুগত্য করো না প্রত্যেক এমন ব্যক্তির যে অধিক শপথকারী, লাঞ্ছিত। পেছনে নিন্দাকারী, যে একের কথা অন্যের কাছে লাগিয়ে বেড়ায়, যে ভালো কাজে বাধাদানকারী, সীমালঙ্ঘনকারী, অপরাধী।’ সুরা আল কলম : ১০-১২
কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন স্থানে যারা ‘পেছনে নিন্দাকারী, যে একের কথা অন্যের কাছে লাগিয়ে বেড়ায়’ তাদের নিন্দা করা হয়েছে। তাদের সম্পর্কে কঠিন সাবধানবাণী শোনানো হয়েছে। এক হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে একের কথা অন্যের কাছে লাগিয়ে বেড়ায়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ সহিহ বোখারি : ৬০৫৬
কাজেই কোনো মুমিন-মুসলমানের জন্য শোভন নয় কুৎসাকারী ও নিন্দাকারীর অনুসরণ করার। যারা পরস্পরের সম্পর্ক নষ্ট করে, দুজনের সুসম্পর্ক নষ্ট করে তাদের বিচ্ছিন্ন করে এবং দুই প্রতিবেশীর মাঝে ফেতনার আগুন প্রজ্জ্বালন করে।
আমরা কোন অপপ্রচার বিশ্বাস করি না। সুপার এডিট করা রেকডিং অশ্রবণযোগ্য। এটা একটা শব্দসন্ত্রাস। অপপ্রচারকারী মানুষ ও আল্লাহ্’র শত্রু। যুদ্ধের মাঠে যারা পিছন থেকে আঘাত করে তারা কাপুরুষ। হোক সামাজিক যুদ্ধ, রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তিগত। পুরুষ হলে মুখোমুখি দাঁড়াও। বর্তমানযুগে এডিট করা ভয়েজ কিংবা ক্লোনভয়েজকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা খুব কঠিন। এসব অপরাধের প্রতিবাদ হওয়া দরকার। দরকার ভবিষতে যেন আর কোন মানুষের সম্মানহানি করার অপচেষ্টা করতে না পারে। তাই অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার এখনি সময়।
পরিশেষে বলব, যারা মানুষের ক্ষতি করে না, মান-সম্মান রক্ষা করে, মানুষের উপকার করে, তারা আল্লাহর পছন্দের বান্দা। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী, সেই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়।’ (আততারগিব: ২৬২৩)