পাত্তি মিস্ত্রি থেকে দিদার কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক!

262


নিজস্ব প্রতিনিধি : নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় পরিবহন চাঁদাবাজ দিদার তার সহযোগী বোগদাদ, সুমন মল্লিক এই তিনজন সিন্ডিকেট করে বুড়িগঙ্গা ট্রান্সপোর্ট থেকে গত ৫ বছরে পুলিশ এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম বলে তিন কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে।কিন্তু গাড়ির মালিকরা টাকার হিসাব চাইলে সে সাধারণ মালিকদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়। পরিবহন চাঁদাবাজ দিদার একজন পাত্তি মিস্ত্রি।সে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক তার। বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতে সিআর মামলার দায়ের করেন।এই পরিবহন সন্ত্রাসী দিদারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে তার চাঁদাবাজির বিভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হবে।চোখ রাখুন দৈনিক ইয়াদ এ।আমাদের শহর সংবাদদাতা আরো জানান
১৯৮২ সাল থেকে পাত্তি মিস্ত্রি দিদার এখন কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। নারায়ণগঞ্জ শহরের
উত্তর চাষাড়া, চানমারি, শিশন বাগ ও সবুজ বাগে তার নামে এবং বেনামে ৪/৫ টা বাড়ী আছে।
এছাড়া কালিগঞ্জের কেরানীগঞ্জে গার্মেন্টস শাটিং শুটিং এর বিশাল কারখানা আছে। মিরপুরে ভায়রার
বাসার সাথে ভাংগারী ও স্ক্রাবের ব্যবসা আছে। কয়েকটা ফ্ল্যাট আছে। তার গ্রামের বাড়ীতে ছিল মাটির
ঘর। বর্তমানে চৌচালা ২য় তলা বাড়ী। বিশাল লেক, মৎস খামার। আরো রয়েছে নামে বেনামে অনেক
জায়গা সম্পত্তি। এছাড়াও কয়েকটি ব্যাংকের সাথে তার বড় অংকের লেনদেন রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে
প্রতিটি পরিবহনে রয়েছে তার গাড়ী। তার অবৈধ চাঁদাবাজি বহাল রাখার জন্য প্রতিটি পরিবহনে
রেখেছে তার ছেলে, ছোট ভাই, ভাগিনা, ভাতিজা, তার বোনের জামাই, বেয়াই এবং রয়েছে তার
অনুগত সাঙ্গ পাঙ্গ।
তার এই লোকজন দ্বারা খাজা মার্কেট এর নীচে বুড়িগঙ্গা ট্রান্সপোর্ট থেকে দৈনিক ৩০০ টাকা করে
৫৪টা গাড়ী থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে, তার সঙ্গে জড়িত তারই সাঙ্গ পাঙ্গ (১) বোগদাদ (২)
সুমন মল্লিক তাদের মাধ্যমে গত ৫ বছর যাবৎ প্রায় ৩ কোটি টাকার উর্দ্ধে চাঁদা আদায় করেছে যা
এখনও চলমান আছে। সাধারন মালিকদের হিসাব না দিয়ে ৩ জনে তাদের মত করে টাকা আত্মসাৎ
করিয়া আসিতেছে। উল্লেখ্য যে তার এই সাঙ্গ পাঙ্গ বোগদাদ এবং সুমনের মাধ্যমে চাষাড়া টু চিটাগাং
রোড ইউনিটি নামে একটি লেগুনা সার্ভিস চালু করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য তাদের চাঁদাবাজির
কারনে সেই পরিবহনটি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে, প্রতিটি মালিককে পথে বসিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে চাষাড়া
টু সাইনবোর্ড রোডে সিটি সার্ভিস নামে চলাচল করে যাহা তার ছেলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করে, সেটিও
বিলুপ্তির পথে। কিন্তু তাহার অধিনস্ত সাগরেদ বোগদাদ এবং সুমনের ১টি গাড়ী দিয়ে ব্যবসা শুরু
করিলেও বর্তমানে তাদের ৬/৭টি গাড়ী রয়েছে। হিসাব চাহিতে গেলে সাধারন মালিকদের ভয়ভীতি ও
প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের আতংকে কেউ হিসাব চাইতে সাহস পায় না। তার ছোট ভাই কাজল
আল্লাহ ভরসা পরিবহন হইতে চাঁদা উঠায়। তার ভাগিনা দেলোয়ার বাঁধন পরিবহন পরিচালনা করে
এবং জোরপূর্বক পরিবহন মিস্ত্রী সমিতির সভাপতি হয়। দিদার নিজে বন্ধু এবং আনন্দ পরিবহনেও
জোরপূর্বক সভাপতি হয়। প্রতিটি পরিবহনে তার চাঁদাবাজি বহাল রাখার জন্য তার আত্মীয়স্বজন,
ভাগিনা ভাতিজা দ্বারা নিয়ন্ত্রন করে। কাউকে সে তোয়াক্কা না করে নিজের মত করেই চাঁদার টাকা খরচ
করে এবং কিছুদিন পর পর দেশবিদেশ ভ্রমন করে। অশিক্ষিত বর্বর নিজের নামটা পর্যন্ত লিখতে পারে
না। তার এবং তার সাঙ্গ পাঙ্গদের এই অবৈধ কর্মকান্ড হইতে সাধারন মালিকদের এবং বিভিন্ন
পরিবহন হইতে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য
প্রশাসনিক সহায়তা সাধারন মালিকগন আশা করে এবং তার অবৈধ টাকায় দেশের বিভিন্ন জায়গায়
অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলার বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দূদক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছে।