নারায়ণগঞ্জের জিমখানায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ আহত ৪

112

মোঃ মোক্তার হোসাইন: নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা এলাকায় ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে যে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রান মুসলমানরা জড়ো হয়ে শহরের মন্ডলপাড়া পুল এলাকায়। এবং প্রিয় নবীর জন্মদিন উপলক্ষে জশনে জুলুশ ঈদ এ মিলাদুনবী উদযাপন শেষ করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুসলমান গন যার যার বাড়িতে ফেরার সময় আদমজী বিহারি ক্যাম্প এলাকার অজ্ঞাত কিছু লোকের সঙ্গে জিমখানা এলাকার কিছু বখাটের সঙ্গে মোবাইল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরবর্তীতে এক রক্তখয়ি সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ ঘটনায় আদমজী বিহারি ক্যাম্প এলাকা থেকে আগত সংঘর্ষ কারিদের হামলায় গুরুতর রক্তাক্ত জখমের শিকার হয় জিমখানা এলাকার চটপটি বিক্রেতা ফরহাদ হোসেন (৪০) ও ইয়াসিন আরাফাত (১৬)নামক দুই জন ছাড়া আরো বেশ কয়েকজন স্থানীয় নিরীহ বাসিন্দা এই নিরীহ মানুষের চিৎকারে যখন এলাকাবাসি ছুটে আসেন তখন সন্ত্রাসী বাহিনি পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকা বসি ৪ জন সংঘর্ষ কারি কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেন এবং ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিয়ে এলাকায় আসলে আবারো হামলার শিকার হয় আদমজী বিহারি ক্যাম্প এলাকার সন্ত্রাসীদের।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন যাহাতে উল্লেখ করে সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী ফরহাদ হোসেন (৪০), পিতা-আব্দুল বারেক, জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৬৮৯০২০৮০৬৬, সাং-৬৪, বঙ্গবন্ধু রোড, নতুন জিমখানা, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ, আপনার থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে থানায় হাজির হইয়া অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি শেখ রাসেল পার্ক জিমখানা এলাকায় একটি চটপটির দোকান চালাই। অন্য ২৮/০৯/২০২৩ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০১:১৫ ঘটিকার সময় আমার দোকান গুছাতে গেলে দেখতে পাই আদমজি এলাকা হইতে আসা অজ্ঞাত প্রায় ২০০-২৫০জন লোক জন মিলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার এলাকার এক ছোট ভাই ইয়াছিন আরাফাত (১৬) কে মারধর করিতেছে, বিবাদীগণ তাকে মারধর করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে এবং ইয়াছিন এর ব্যবহৃত এন্ড্রোয়েড মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি তাকে বাচাতে গেলে এবং উক্ত বিষয়ে জানতে গেলে, বিবাদীগণ আমাকে কোন কথা না বলিয়া এলোপাথারী কিল ঘুষি লাখী মারতে থাকে। বিবাদীগণের মারধরে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাতমক নিলা ফুলা জখম করে। মারধরের একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে আমাকে এলোপাথারী আঘাত করতে থাকে। বিবাদীগণের আঘাতে আমার কপালের ডানপাশে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে আমাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশের কিছু লোকজন আমাদের বাচাতে আসলে, বিবাদীগণ লোক সংখ্যায় বেশি হওয়ায় বিবাদীগণ তাদেরকেও মারধর করতে থাকে। বিবাদীগণ আমাদের সহ স্থানীয় লোকজনদের আহত করে উক্ত স্থান ত্যাগ করে। বিবাদীগণ উক্ত স্থান ত্যাগ করার পূর্বে আমাকে গালিগালাজ সহ পরবর্তীতে আমাদের পেলে আরো বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। বিবাদীগণ চলে যাওয়ার পর আমরা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। চিকিৎসাধীন সময় আমার কপালের ডান পাশে ৫টি শিলির প্রয়োজন হয়। এমতাবস্থায় কোন উপায়ান্ত না পাইয়া জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইনগত সহযোগীতার জন্য বিষয়টি আপনার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করিলাম। উল্লেখ্য যে, বিবাদীগণদের আমি দেখিলে চিনতে পারবো।অতএব, মহোদয় উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সদয় মর্জি হয়।এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আনিচুর মোল্লা কে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করেছেন এবং আরো বলেন যে আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উল্লেখ জুলুস মিছিলের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুলিশ সদস্য রা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উপস্থিত ছিলেন তার পরেও আমি যখন একজন স্থানীয় সাংবাদিকের ফোন পাই এ ঘটনার বিষয়ে আমি সাথে সাথে আরো দুই টি টিম ঘটনা স্থলে পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।