বোরহান উদ্দিন (সোনারগাঁ ):
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী ইউনিক গ্রুপ নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান কৃষকদের কয়েক শত একর ফসলী জমি ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে না দিয়ে ৮-১০ বছর পুর্বে জোর পুর্বক বালু ভরাট করে।
১৬ অক্টোবর সোমবার সকালে কোম্পানির লোকজন বালু ভরাটকৃত কৃষকদের জমিতে স্থাপনার কাজ করতে আসলে আশেপাশের কয়েকশত কৃষক ও গ্রামবাসী বাধা দিলে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসীরা তাদের জমি রক্ষার জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করে। এসময় গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহন করে।
মানববন্ধনে কৃষক, গ্রামবাসী ও বিক্ষোভকারীরা বলে, ব্যক্তি মালিকানাধীন ভুমি দস্যু প্রতিষ্ঠান ইউনিক গ্রুপ সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর, রতনপুর, ভবনাথপুর, জৈনপুর ও কান্দারগাঁওসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক শত একর কৃষি জমিতে বালু ভরাট করছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের একটি প্রভাবশালী মহল গত কয়েকদিন ধরে জোড়পূর্বক অসহায় কৃশকদের জমি ভরাট করছে।
ভুমি খেকু শিল্প প্রতিষ্ঠানের হাত থেকে ফসলী জমি রক্ষা ও অবৈধ ভাবে জোড়পূর্বক বালু ভরাটের প্রতিবাদে ১০ গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে। তারা জানায়, শত শত কৃষকের বেচে থাকার এক মাত্র অবলম্বন তাদের ফসলী জমি। ভূমি দস্যুরা এভাবে জোড়পূর্বক ভরাট করতে থাকলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির আগ্রাসন থেকে কৃষি জমি রক্ষা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছে নীরহ জনগন।
মালিক পক্ষের সঙ্গে জড়িত দালাল সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাঃ সম্পাদক নেকবর হোসেন নাহিদ বলে, যারা মানববন্ধন করছে তারাই কৃষিজমি থাকা কালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজশ করে বালু ভরাট করেছে, এখন অন্যের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। আজকের এই মানববন্ধন উদ্দেশ্য প্রনোদিত, কৃষিজমি রক্ষার বিষয়ে তারা আসেনি। আনুমানিক ১০ বছর পূর্বে যখন এই এলাকায় বালু ভরাট করা হয় তখন আজকের এই মানববন্ধন কারীরা বাধা দেয়নি উল্টো প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করেছে। তাছাড়া আজ কোনো জমি ভরাটের উদ্দেশ্যে কেউ কাজ করেনি, বহু পূর্বে ভরাটকৃত বালুর মাঠ থেকে কাশবন কাটার জন্য মালিকপক্ষ শ্রমিক পাঠিয়েছেন, আমরা সেই কাজের পরিচালনা করছি।
মানববন্ধনের এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় প্রশাসন ভুমিদস্যুদের পক্ষে কাজ করছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।