নিজস্ব প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার প্রতিটা মন্ডপে আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজার প্রতিমা তৈরির সকল প্রস্ততি শেষ হয়েছে। প্রতিমা তৈরির কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোয়াঁয় হয়েছে রংয়ের আচড়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উৎসবের অপেক্ষায় আছেন। আসন্ন দুর্গা পূজা সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে কঠোর তৎপর।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা শাখার সভাপতি লোকনাথ দত্ত জানান, ২০২৩ সনের সোনারগাঁও উপজেলায় পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩৩টি পূজা মন্ডপে ২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিমা দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এবার মা দুর্গা ঘটোকে চড়ে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে আগমণ করছে। আর গমন হবে ঘটোকে চড়ে। তবুও আমাদের মা দূর্গা আশির্বাদ দিয়ে যাবে। এখন প্রতিমার গায়ে কারিগরদের নিপুন হাতের ছোয়াঁয় রংয়ের আচড় ও মা দুর্গার সকল প্রস্ততি শেষ হয়েছে। এখন শুধু উৎসব পালন করার অপেক্ষায়।
তবে সাজ সজ্জায় এগিয়ে রয়েছে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কামারগাঁও স্বর্গীয় সন্তোষ দত্তের বাড়ী শ্রী শ্রী সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্ডপ।
পূজা উদজাপন কমিটির সভাপতি সুমন দত্ত বলেন, আজ ২০ অক্টোবর থেকে আমাদের সব থেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। তাই সকল প্রস্ততি প্রায় শেষ। এখন শুধু আমরা উৎসবের অপেক্ষায় আছি। এবার মায়ের কাছে প্রার্থনা করবো যাতে সবকিছু মঙ্গল হয়। আমরা চাই এবার সবার মনে শান্তি বর্ষিত হোক। সবাই একে অপরকে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবো। এটাই সবার প্রত্যাশা। শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে সবাইকে আমন্ত্রণ, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
উপজেলার কামারগাঁওয়ের শ্রী শ্যী সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্ডপের পুরোহিত উজ্জল কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমি গত ৮ বছর যাবৎ এই মন্ডপে পূজা উদযাপন করে আসছি। প্রতি বছর মা দূর্গা দেবীকে আমরা পূজা করি। এই পূজাটা হচ্ছে আমাদের কালের পূজা নয়, অকাল পূজা। আমাদের রামচন্দ্র রাবণ ঘোষের নিমিত্তে এই দূর্গাপুজা প্রচলন করেছিলেন। আশা করি এবার মা দূর্গা সকলের আর্শিবাদ দিয়ে যাবে। সকল দুঃখ কষ্ট মুছে যাবে। প্রত্যাশা করি এবার মা দুর্গা আগমণ ও গমণে দেশবাসী সহ সকলের শান্তি ও মঙ্গল বর্ষিত হবে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম সুমন বলেন, আসন্ন দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে কঠোর তৎপর। নিরাপত্তায় প্রতিটা মন্ডপে থাকছে পুলিশ। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটা মন্ডপে নজরদারি করা হবে। কোনো রকম সাম্প্রদায়িক গুজব যেন না হয়। সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।