নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধই আলোর দিশা হয়ে পথ দেখাবে – আনন্দধামে জেনারেল হারুন।
অদ্য শনিবার সামাজিক সংগঠন আনন্দধামের উদ্যোগে স্থানীয় বি বি রোডস্থ হান্ডি মাটন রেস্টুরেন্টে আনন্দধাম না:গঞ্জ সিটি প্রতিনিধি সম্মেলন- ২০২৪ ও “বিশ্বায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় নব প্রজন্মের ভাবনা” – শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান ও প্রাক্তন রাস্ট্রদুত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম হারুন অর রশিদ, বীর উত্তম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজহিতৈষী রোখসানা রশিদ বনি ও সৈয়দ মো: সাঈদ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, অতিরিক্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বাবু ও বিশিষ্ট সমাজহিতৈষী সিনিয়র সাংবাদিক স্বপন চৌধুরী।
আনন্দধামের মহাসচিব বাবু বিশ্বজিৎ সাহার সঞ্চালনায়, যুগ্ম মহাসচিব বাবু বিপ্লব ঘোষ ও সাংগঠনিক পরিচালক আবদুল কাইয়ুম আল আমিনের ব্যবস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনন্দধামের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার মো: মারুফ। এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের ভাইস চেয়ারম্যান দ্বয় মতিউর রহমান মুক্তি ও শ্যামল দত্ত, অতিরিক্ত মহাসচিব এডভোকেট শেখ মোঃ জসিম উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মোতালেব সানি, সাহিত্য পরিচালক এনামুল হক প্রিন্স, আনন্দধাম প্রবীন সংঘের সভাপতি আবদুর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের না:গঞ্জ সিটির অন্তর্ভুক্ত ৯ টি ওয়ার্ডের আনন্দধাম কমিটির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে জনাব মতিউর রহমান মুক্তিকে মহা পরিচালক ও রাইহান আহমেদ ভূইয়াকে সদস্য সচিব করে আনন্দধাম সিটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো “বিশ্বায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় নব প্রজন্মের ভাবনা”।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি চারন করে বলেন, সে দিন মুক্তি সেনারা দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য ও বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার জন্যে, যে আত্মত্যাগ করে গেছেন তা আমাদের জাতির ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে। আজকে বিশ্বায়নের যুগে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার দায়িত্ব নব প্রজন্মের উপর। এ বিষয়ে উনি বিস্তারিত আলোচনা করে বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখতে নব প্রজন্মকে, মাদকতা,দুর্নীতি সহ যাবতীয় সামাজিক অপকর্মের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধই নব প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। বিশ্বায়নের যুগে দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধই আলোর দিশা হয়ে পথ দেখাবে।
হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন রাস্ট্রের নাগরিকদের অবশ্যই সন্ত্রাস ও মাদকতা নির্মুলে এগিয়ে আসতে হবে নতুবা এর কালো থাবা মানব সভ্যতাকে বিলীন করে দেবে। আনন্দধাম সমাজের নাগরিকদের নেতৃত্ব বিকাশে ও সামাজিক উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি উপস্থিত প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আনন্দধামের এই সামাজিক আবেদন সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে পোছে দেওয়া আপনাদের দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে আনন্দধামের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় ও উপস্থিত সবাইকে মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত করা হয়। আনন্দধাম সাংস্কৃতিক পরিষদের পরিচালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মেলন ও আলোচনা সভার সমাপ্তি করা হয়।