রুহুল আমিন মন্ডল: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার মলম বিক্রেতা শাহ্ আলম সহ তার প্রতারক চক্রের সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। চীফ জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট কোর্টে এই মামলা করা হয়েছে। মামলা বিবরনে দেখা যায় মলম বিক্রেতা শাহ্ আলম যে পত্রিকা সম্পাদনা করছে দৈনিক রুদ্র বার্তা সেই পত্রিকার মুল সম্পাদক ও প্রকাশক হচ্ছে শহিদুল ইসলাম পাইলট এবং শরীয়তপুর জেলা থেকে পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। অন্য দিকে ভুয়া সম্পাদক শাহ আলম নারায়ণগঞ্জ থেকে অবৈধ ভাবে পত্রিকা বাজার জাত করে প্রতারনার মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ কপি পত্রিকা ৫ টাকা করে প্রতি বছরে ৫.৪০.০০০/ পাঁচ লাখ চল্লিশ হাজার টাকা বিগত ১২ বছরের আনুমানিক ৬ কোটি আটচল্লিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারনার মাধ্যমে।
২০১২ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ তিনি এই পত্রিকাটি অবৈধ ঘোষণা করে এবং তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপারকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। বিগত ১২ বছরেও কোন ব্যাবস্থা না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে ভুক্তভোগীকে। তাদের পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে নামে বেনামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। বাদ দেয়নি সাংবাদিকদেরও। শুধু শাহ আলম তালুকদার একা নয়, দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট, সাপ্তাহিক সত্যের পাতা, পত্রিকাও বৈধ কোন নিবন্ধন নেই। সাপ্তাহিক রুদ্র কন্ঠ, পত্রিকার প্রকাশক হচ্ছে জলিলুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হচ্ছে মোঃ মতিউর রহমান তিনি রুদ্র কন্ঠ পত্রিকা সম্পাদনা করেন শরীয়তপুর জেলা থেকে। তাহলে শাহ আলম একই পত্রিকা রুদ্রকন্ঠ মুল সম্পাদক হয়ে ছেলে, মেয়ে,স্ত্রী, সন্তানদের বিভিন্ন পদপদবী দিয়ে সম্পাদনা করে আসছে কিভাবে? একুশে কাগজ অনলাইন পোর্টাল এবং নারায়ণগঞ্জ অনলাইন প্রেস ক্লাব এই সমস্ত পত্রিকার বৈধ কোন কাগজপত্র সরকারি কোন নিবন্ধন নেই। তার পরও দিনের পর দিন অবৈধভাবে প্রতারনার মাধ্যমে পত্রিকা বাজার জাত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে শাহ আলম গংরা।
একুশে কাগজ অনলাইন পোর্টাল অনিবন্ধিত। একটি অনিবন্ধিত পোর্টাল কিভাবে জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক করার জন্য অবেকগুলি কার্ড পেল, সেটা নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের বিতর্ক সাংবাদিক মহলে। শুধু অনলাইন পোর্টাল নয়, নারায়ণগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব সেটাও ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তির ন্যায় দখল করে আছে সরকারি অর্থ আত্নস্বাদকারী মান্নান এবং এই অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশক হচ্ছে একজন ধর্ষন মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। শুধু সাজাপ্রাপ্ত আসামি নয় তার বিরুদ্ধে ডিসি ও এসপি অফিস সহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
অন্য দিকে মুল ধারার সাংবাদিক তথা নিবন্ধনকৃত পত্রিকার জন্য পর্যবেক্ষক কাড আনতে গেলে জেলা রিটার্নিং অফিসার নিবন্ধনের কপিসহ আবেদন করতে বলেন বলে জানা গেছে। তাহলে অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালে কিভাবে এতগুলি কাড দিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মান্নান ডিসি অফিসের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেস করে বিভিন্নভাবে মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে। অপরাধ বিচিত্রার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতির নামে মিথতা অভিযোগ করে হেন্সথ করেছে। ডিবির এস আই সাফিকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে সরকার বিরুধী নাশকতার মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে এই প্রতারক মান্নান। যা মান্নানের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।
দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকা দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত হলেও এই পত্রিকায় নামে বেনামে মিথ্যা নিউজ করায় ২০২৩ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী এবং মামলার পারপাসে জানা যায় দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকা ভুয়া, অবৈধ অনিবন্ধিত ভাবে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। তা জানা জানি হলে সম্পাদক পত্রিকা মাঝে মধ্যে বের করে নিয়মিত বের করে না। নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকদের মতে অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকা ছিল চাঁদাবাজির মুল হাতিয়ার। এই পত্রিকা দিয়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান,অটো রিকশা ইজিবাইকে স্টীকার লাগিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি আর মিথ্যা নিউজ করে মানুষকে হয়রানি করত বলে জানা যায়। ভুয়া সম্পাদক মাহমুদুর রহমান দীপু নিজেকে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মহাসচিব পরিচয় দিয়ে দাবরিয়ে বেড়াত একসম , যখন আসল জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলতাফ হোসেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের অপকর্ম দেখতে পেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যে মাসুদুর রহমান দীপু জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মহাসচিব নয় সে ভুয়া মহাসচিব পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করছে। যখন মহাসচিব পদবী ভুয়া হল, পত্রিকা ভুয়া হল এখন নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে জাহির করা শুরু করল দীপু । নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ তাদের ভাষ্য, যে প্রথম স্ত্রীর ভরনপোসন না দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে অটো রিকশা ইজিবাইকের চাঁদার টাকা দিয়ে রং তামাসা করে সে আবার সাংবাদিক নেতা দাবী করে কি করে?ভুক্তভোগী এই পত্রিকার বিরুদ্ধে যখন মামলা দায়ের করল তখন থেকেই পত্রিকা মাঝে মাঝে গায়েব হয়ে যায় বাজার থেকে। আবার তাদের কোন অনুষ্ঠান হলে শুধু সেই অনুষ্ঠান কাভারেজ দেওয়ার জন্য বের করে আর প্রসাশনিক দফতরে সৌজন্য কপি বিতরণ করে।
সাপ্তাহিক সত্যের পাতা এটা শুধু নামেই সত্য বাস্তবে মিথ্যা ছাড়া কিছুই নয়। বিগত কয়েক বছরে এই সত্যের পাতা পত্রিকা নারায়ণগঞ্জ বাসী প্রিন্ট কপি দেখেছে বলে মনে হয় না। কিন্তু পত্রিকাটির সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের শুধু দাওয়াত কার্ড আর তার ভিজিটিং কার্ড দিয়েই সিমাবদ্ধ বাস্তবে এই পত্রিকার আদো কোন বৈধ নিবন্ধন আছে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।
এই পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে একাধিকবার ঢাকা জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়কে লিখিত ভাবে চিঠি দিয়ে ও কোন কাজ হয়নি। নারায়ণগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্র শহরের মধ্যে দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে ভুয়া পত্রিকা সম্পাদনা করছে আর কোন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রসাশন। তাই দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে এই সমস্ত প্রতারক চক্র এবং ভুয়া সম্পাদকদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে বিবেকবান এক ভুক্তভোগী ।
নারায়ণগঞ্জবাসী তথা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আবেদন যেহেতু মামলা আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক নারায়ণগঞ্জ ডিবিকে তদন্ত দিয়েছে, তাই সবাই তাদের মুখোশ উম্মোচন করায় সহয়তা করুন।