থামছে না মাসুম ও আলোর মাদকের হাট বাজার ?

55


মোঃ মিঠু আহম্মেদ নারায়ণগঞ্জ :
শহরের জিমখানা এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে শহরের বিভিন্ন জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ কারি মাসুম @ পিচ্চি মাসুম ও অবৈধ সম্পর্কে জাড়িত নারী আলিজানের স্ত্রী কুখ্যাত কিশোর গ্যং লিডার তানভীরের মা আলো ওরফে ইয়াবা সুন্দরী আলো নামের দুই প্রেমিক প্রেমিকা। নগরীর জিমখানা এলাকা এখন এই দুই প্রমিক প্রেমিকার মাদকের বানিজ্যেই দখল হয়ে আছে যা জিমখানা এলাকার স্থানীয় মানুষের জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে নানা ভাবেই। এরা কারা.? কি তাদের পরিচয়.? কোথায় পায় তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পার্শ্ববর্তী ও সিভিল ডিফেন্স ফায়ার সার্ভিসের অফিসের সামনে এবং একটু অদুরেই মন্ডলপাড়া পুল যেখানে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের কার্যালয় ও আটো এবং সিএনজি স্টান এমন ব্যস্ততম এলাকায় মাদকের হাট বাজার খুলে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি কিভাবে করছে মাসুম ও আলো.! কোথায় পায় তারা এতোটা সাহস..??তবে কি অন্য কোনো রহস্য আছে যা লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছে.?সেই প্রশ্নের জবাব খুজতে গিয়ে নজরে আসে ভয়ংকর একটি মাদক চোরাকারবারি পরিবারের সদস্যদের ও তাদের মাদকের যোগানদাতা ও নিয়ন্ত্রণ কারিদের ভয়াবহ পরিস্থিতির বিষয়। জিমখানা এলাকা এক সময়ে বস্তি ছিল কিন্তুু বর্তমানে সেখানে তৈরি হয় শেখ রাসেল পার্ক । সরকারের কোটি টাকার পার্ক এখন মাদক কারবারের অন্যতম স্থানে রুপ দিয়েছে জিমখানা বস্তীর আলি হোসেনের মেয়ে আলো ও নারায়ণগঞ্জ শহরে জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ কারিদের অন্যতম সদস্য মাসুম পিচ্চি মাসুমের মাদক বানিজ্যের কারনে। কে এই মাসুম..? মাসুমএকজন জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে সকলের কাছেই পরিচিত কিন্তুু বর্তমানে প্রশাসনের শক্ত অবস্থানের কারনে পরিচালনা করতে পারছে না জুয়ার আসর তাই জিমখানা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি আলো ও তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে তৈরি করেছে বিশাল এক মাদক বানিজ্যের নেটওয়ার্ক যা নিয়ন্ত্রণ করছে জুয়ার বোর্ড নিয়ন্ত্রণ কারি মাসুম ও আলো নামের এক মহিলা। এরা যদিও অবৈধ মাদক বানিজ্য পরিচালনা করে। কিন্তুু তারা নিজেদের নিয়মের বাহিরে কিছুই করে না। তারা নিজেদের মাদক বানিজ্যের জন্য বেছে নেয় নিজেদের এড়িয়া যার এড়িয়া যেখানে সে কেবল সেখানেই মাদক বিক্রি করতে পারে অন্যরা সেখানে আসতে চেষ্টাও করে না। নিয়ম তৈরি করে দেয় মুলত এই পরিচালনা গ্রুপের প্রধান হিসেবে ইয়াবা সুন্দরী আলো ও মাসুম এড়িয়া ভাগ করে দেয় এবং আরেক জন তাদের দলনেতা রয়েছে শাহ আলম নামের বিএনপির আগুন সন্ত্রাসী। মুলত এই তিন জনই এড়িয়া বন্টন করে মাদক বিক্রি করে। মাদকের যোগানদাতা হিসেবে মাসুম ও শাহ আলম পিছু থেকে কাজ করে। মাসুম ও শাহআলমের যোগদানকৃত মাদক ইয়াবা সুন্দরী আলো ও লালচানের মাধ্যমে পৌঁছে যায় পুরো জিমখানা সহ আশপাশের আরো কয়েকটি এলাকায়। গ্রুপের অন্য এক সদস্য শাহদাত এই সকল মাদক নিজ পরিকল্পনায় ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকে এবং প্রয়োজন মোতাবেক বের করে মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে কারবারিদের হাতে তুলে দেন। এদের মাদক বানিজ্য পরিচালনা করতে তৈরি করেছে একটি সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যং বাহিনী যা নিয়ন্ত্রণ করে ইয়াবা সুন্দরী আলোর কুলাঙ্গার ছেলে তানভীর ওরফে টুন্ডা তানভীর। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাতি ও ছিনতাই করে এনে দেয় আলো ও মাসুমের কাছে আর তারা দুইজন এই লুটের অর্থ দিয়ে পরিচালনা করে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনীর হামলার শিকার হতে হয়েছে বিভিন্ন পুলিশ সদস্য ও ডিবি পুলিশ অফিসারগন। কিন্তুু কিছুতেই গ্রেফতার করতে পারে না এই মাদক কারবারের পরিচালক প্রধান পিচ্চি মাসুম ও ইয়াবা সুন্দরী আলোকে তাই কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না এমন ভয়াবহ মাদকের হাট বাজার।
এখন নারায়ণগঞ্জ সদর এলাকার বিভিন্ন মহলের মানুষের দাবীতে রুপ নিয়েছে অনতিবিলম্বে জিমখানা এলাকার মাদক বানিজ্যের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কারি মাসুম ও ইয়াবা সুন্দরীকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে তাদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে সমগ্র নারায়ণগঞ্জ সদর এলাকা থেকে চিরতরে এই মাদক বানিজ্য নিষিদ্ধ করে যুবসমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ও নতুন প্রজন্মের জন্য উপহার হিসেবে মাদক মুক্ত সুস্থ সমাজ তৈরি করা যা অতি জরুরি হয়ে গেছে এমনটাই আশা করছে বিভিন্ন এলাকার এবং জিমখানার নিরীহ সমাজের লোকেরা।