একজন মানবিক মেয়র মুক্তারের গল্প

989

তন্ময় দেবনাথ রাজশাহী :

বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আড়ানী পৌরসভার সকল শ্রেণী পেশার নাগরিকের অত্যন্ত প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন মেয়র মোঃ মুক্তার আলী। ছোট-বড় সকল মানুষের অভাব অভিযোগ মন দিয়ে শোনা, সমাধানের চেষ্টা করা এবং সকল প্রয়োজনে নাগরিকদের পাশে থেকে নিজেকে এ অবস্থানে এনেছেন মেয়র মুক্তার আলী। অগ্নিকাণ্ড, বন্যায় বা যেকোন সংকটে মানুষের সেবায় নিজেকে সমর্পন করেন মেয়র মুক্তার। বিশেষতঃ করোনা সংকটে যখন অনেককেই দূরে থেকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে সেখানে তিনি নিজের জীবনের মায়া না করে মানুষের পাশে সশরীরে করোনা মোকাবেলার কার্যক্রম তদারকির করেছেন এবং মানুষের কাছে খাদ্য উপহার পৌঁছে দিয়েছেন।তাছাড়া, অনেক নেতা জনপ্রতিনিধিকে এলাকাতে কম পাওয়া গেলেও মেয়র মুক্তার তার দরজা সকলের জন্য সর্বদা অবারিত। প্রতিদিন নিজের অফিসে বা বাসায় মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন, তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। অনেকের মতে, চলতি রাজনীতির এক বিপরীত চরিত্র মেয়র মুক্তার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে মানবকল্যাণের মিশনই মেয়র মুক্তারের একমাত্র ব্রত। আর এ কারণেই তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য।মেয়র হওয়ার আগে তিনি ইউনিয়ন মেম্বার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে দক্ষতার সাথে সামলিয়েছেন বিলুপ্ত আড়ানী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের দায়িত্ব। এক সময়কার অবহেলিত, বঞ্চিত, অনুন্নত ও বৈষম্যের শিকার নগরবাসীকে দেখিয়েছেন স্বপ্ন। একজন দায়িত্বশীল নেতার দায়িত্ব তিনি যোগ্য নেতৃত্ব এবং দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করে যাচ্ছেন।
আড়ানী পৌরসভার দায়িত্ব নেয়ার পর পৌর সড়ক ও ড্রেনেজ অবকাঠামোয় দারুণ পরিবর্তন এসেছে।

দূরদর্শী মেয়র এর কার্যক্রমে আবর্জনার পৌরসভা এই তকমা থেকে বেরিয়ে এসেছে অনেকটা। বিলুপ্ত পৌরসভার জনবল দিয়েও প্রতিদিন বর্জ্যের পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মেডিকেল বর্জ্য, পয়ঃবর্জ্য এবং গৃহস্থালী বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার নেওয়া হয়েছে পৃথক পৃথক উদ্যোগ। পৌরসভার প্রায় সড়কে বসেছে এলইডি সড়কবাতি। ইপিআই, কৃমি নিয়ন্ত্রণ, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে শতভাগ সফলতার পাশাপাশি নাগিরক স্বাস্থ্য সেবায় জনগণের প্রয়োজনে তিনি কঠোর সিদ্ধান্তও নিতে পারেন।
তার প্রমাণও তিনি রেখেছেন।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্মার্ট কারিগর মোঃ মুক্তার আলী ।আড়ানী পৌর কাউন্সিলর বৃন্দরা জানান আড়ানী পৌরসভার সমস্যাগুলো সমাধানে মেয়র সাহেব চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পৌরসভার নানা প্রান্তে সড়ক-ড্রেন নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চোখে পড়ছে। সড়কবাতির ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হয়েছে। অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে বেশ কয়েকটি রাস্তার বীর শহীদদের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

এই বিষয় পৌরসভার বেশ কিছু জণগণ জানান,মেয়র মহোদয় কে আমারা যখনই ডাকি তখনই আমাদের পাশে দাঁড়ান।বিভিন্ন আপদে বিপদে তিনি পরিবারের মত পাশে থেকে সাহস এবং সকল সহযোগিতা করেছেন। তার কাছে ধনী গরিব সবাইকে তিনি নিজের পরিবারের মত ভালোবেসে আগলে রাখেন আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।

এই বিষয়ে মেয়র মুক্তার আলী জানান, সর্বদা জণগণের পাশে থেকে তাদের সুখ দুঃখের সাথি হয়ে থাকতে চেয়েছি। তারা শুধু আমার পৌরসভার বাসিন্দাই নয় তারা আমার পরিবার। যখন আমি তাদের কোন উপকার করতে পারি তখন নিজের কাছে অনেক আনন্দ উপভোগ করি। আমি চাই সৃষ্টিকর্তা যেন সর্বদা জণগণের পাশে থাকার তৌফিক দান করেন।