মোঃ মিঠু আহম্মেদ নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ষষ্ঠবারের মত স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা হয়েছে। বন্দরে ৫টি ইউনিয়নে ৫৪টি কেন্দ্রে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ জন। তবে ৪৫ দশমিক ৮৫ শতাং ভোট পড়েছে বলে কেন্দ্র ঘুরে জানা যায়। বুধবার (৮ মে) বেসরকারি ভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।
পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ৫০০ জন ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ৬৪ হাজার ৬২ জন। প্রাপ্ত ফলাফলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের মোঃ মাকসুদ হোসেন ২৯৮৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চিংড়ি মাছ প্রতিকের সাবেক ২বারের উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ১২৬২২ ভোট পেয়েছেন। ৩য় স্থানে রয়েছেন বন্দর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি দোয়াত কলম প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ। তবে মাকসুদ চেয়ারম্যানের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ ২৫৫ ভোট পেয়েছেন।
অপরদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (পুরুষ) মাইক প্রতিকে আলমগীর হোসেন ১৭৬০৬ পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটকম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী উড়োজাহাজ প্রতিকের জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্যাহ সানু পেয়েছেন ১৭০০১ ভোট। ১৩৪২৮ ভোট পেয়ে ৩য় স্থানে রয়েছেন টিউবওয়েল প্রতিকের বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম জুয়েল এবং মোশাঈদ রহমান মুকিত ৮৪০৬ ভোট পেয়ে ৪র্থ স্থানে রয়েছেন।
এছাড়াও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফুটবল প্রতিকের বন্দর থানা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা ২৯৪৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মাহমুদা আক্তার কলস প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২৬২৮৪ ভোট।
বিজয়ী প্রার্থীরা বলেন,এ বিজয় পুরো বন্দর উপজেলাবাসীর। আমরা যেন আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি। সবাই দোয়া করবেন। আর যারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছেন তাদের কাছে সহযোগিতা কামনা করি তারা যেনো আমাদের সাথে বন্দর উপজেলার সকল উন্নয়ন মুলক কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন কেননা নির্বাচনের পড়েও আমরা সকলেই বন্দর উপজেলার বাসিন্দা ।সকল মান অভিমান ভুলে একে অন্যের ভাই ভাই হয়ে থাকতে পারি এই আশা ব্যক্ত করছি ।সকলেই ভালো থাকবেন।