মোঃ মোক্তার হোসাইন বিশেষ প্রতিনিধি (নওগাঁ)
প্রায় ৮ মাস আগে শিবগঞ্জ থানা এলাকায় বিয়ের পর নতুন সংসার ঠিকঠাক চলছিল তৌফিক রানার।
কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই আর সংসার করবে না জানিয়ে স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপরই শনিবার (১৮ মে) রাত ২টার দিকে তৌফিক তার ফেসবুক থেকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার টিএ্যান্ডটি পাড়ায়।
পরিবার জানায়, সাপাহার টিএ্যান্ডটি পাড়ার মোস্তফা হোসেনের ছেলে তৌফিক রানা প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ রাত ২টার দিকে তার ফেসবুক আইডি থেকে তার স্টোরিতে ‘পৃথিবী থেকে বিদায়, ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ পোস্ট দেয় এবং কিছু বন্ধুদের ম্যাসেনজারেও কথাগুলো পাঠায়। এরমধ্যে রাতের কোনো একসময় ঘরের গলায় ওড়না বেঁধে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহতের বাবা মোস্তফা হোসেন জানান, রোববার ভোর ৫টার দিকে তৌফিকের মা ঘুম থেকে উঠে দেখে ছেলের ঘরের দরজা খোলা, এত সকালে দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ঘরের দিকে এগিয়ে গেলে ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ সময় বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং স্থানীয় থানায় খবর দেন।
মোস্তফা হোসেন আরও জানায়, আমার দুই ছেলে এক মেয়ে তার মধ্যে তৌফিক সবার ছোট, প্রায় ৮মাস আগে শিবগঞ্জ থানা এলাকায় ছেলেকে বিয়ে দিয়ে ছিলাম, নতুন বউ বাড়িতে সংসার ১ মাস না করতেই সংসার আর করবে না বলেই বাবার বাড়ি চলে যায়।
এর আগে ১৭ মে শুক্রবার তৌফিক তার ফেসবুকে পোস্ট দেয় ‘আমিও একটা ভদ্র সমাজ থেকে বড় হয়েছিলাম। ঠিক সবার মতো আমার সমাজও আমাকে নিয়ে অনেকে স্বপ্ন দেখতো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তে আমার জীবনে এমন কিছু মানুষ এসেছিল যারা আমার জীবিত দেহ থেকেই আমার আত্মাটাকে কেড়ে নিয়েছিল। ঠিক তার জন্যই আজ আমি নেশার জগতের বাসিন্দা।’
এ বিষয়ে রোববার বেলা ১১টায় সাপাহার থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেবের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।