মোঃ মোক্তার হোসাইন
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বায়ান্ন শতাংশ জমিতে লাগানো বাগানের প্রায় ১২৬টি ফলজ গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন বাগান মালিক। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
শনিবার (২৫ মে) রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গাছ মালিক মো. ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বছর চারেক আগে মো. ইমরান হোসাইন তার পৈত্রিক সম্পত্তির ৫২ শতাংশের মধ্যে লিচু গাছ ৫২টি, আম গাছ ১০টি, কাঠাল গাছ ১০টি, পেপে গাছ ৫টি, আনার গাছ ৪টি ও জামরুল গাছ ৫টিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগান। প্রতি মাসে বাগান দেখাশোনা ও পানি দেওয়ার কাজে তাদের ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যায় ইমরান বাগান পরিদর্শন করেন। পরেরদিন রোববার ফজর নামাজের পর বাগানে এসে দেখেন সব গাছ কে বা কারা কেটে ফেলে রেখে যায়। পরে তিনি স্থানীয় মেম্বার মো. কালাম, নেহাল উদ্দিন মেম্বার, আবু সাইদ, এমদাদ, আনোয়ার মোল্লা ও নুরুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দেখান। এছাড়া তিনি এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকেও বিষয়টি অবহিত করেন।
ইমরান হোসাইনের চাচাতো ভাই জানান, সবেমাত্র আম গাছগুলোতে মুকুল এসেছে, এছাড়া লিচু গাছসহ অন্যান্য গাছে এ বছর প্রথম ফলন
ধরেছে, এমন সময়ে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনার তিনি সদ্যসমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত বাবুর সমর্থকদের দায়ী করেন।
ঘোড়ার নির্বাচন করায় বাবুর সমর্থকরা কয়েকবার তাদের হুমকিও দিয়েছে বলে অভিযোগ তার। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অমানুষ বলেও দাবি করেন তিনি। এর আগেও এই গ্রামে রাতের আঁধারে গাছ কেটে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। তিনি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
এ বিষয়ে ইমরান হোসাইনের মা কান্নাজড়িক কণ্ঠে বলেন, আমাদের সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই। অনেক কষ্টের আমাদের এই বাগান। আমি এর কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই হাসিবুর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনা সরেজমিনে গিয়ে দেখে এসেছি। সঠিক তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।