নিজস্ব প্রতিনিধি :
সিলেট মহানগরীর বিআইডিসি খাদিমে সরকারী খাস খতিয়ানের জমি জাল দলিলের মাধ্যমে দখল, স্টাম্পের মাধ্যমে অবৈধ বিক্রি, পাহাড় টিলা কেটে পরিবেশ নষ্টকারী, সরকারি গাছ কেটে পাচার এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করায় এবং গত ১২ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক মধ্যে রাত ১৩ এপ্রিল ভোরে সরকারী গাছ কাটার গোপন সংবাদ পেয়ে ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় সংবাদকর্মী জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর শাহপরান থানা শাখার সভাপতি
মোঃ মইন উদ্দিন(৩৯) এর উপর হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করে গাছ চোর, ভূমিখেকো, টিলাখেকো, পরিবেশ নষ্টকারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা হত্যা না করে সারারাত শারিরীক নির্যাতন করে সকাল বেলা জোরপূর্বক গরুর রশীতে হাত ধরিয়ে ভিডিও ও ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে চোর বানানোর বৃথা চেষ্টা করে। সেই নির্যাতন ও চোর বানানোর ভিডিও এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। ঘটনার পর খবর পেয়ে তালাশ টিভি ডট লাইভ এর সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক মঈন উদ্দিন কে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সংবাদকর্মী মঈন উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ই এপ্রিল শাহপরান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ১৫ দিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলেও ঘটনাস্থল বিমানবন্দর থানায় উল্লেখ করে অভিযোগ রেকর্ড করতে অনীহা প্রকাশ করে বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে
অবশেষে দুই থানার রশি টানাটানির পর সিলেট বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দীর্ঘ ১মাস ৬দিন পর মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নং ২১/১০০, তারিখ ১৯/০৫/২৪ইংরেজী। মামলায় ১২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামী করা হয়েছে। ধারা ১৪৩/৩৪১/৩৪২/৩২৩/৩৮৬ ও ৩৭৯ পেনালকোড ১৮৬০। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত নগদ ১হাজার ৫শত টাকা,৬০হাজার টাকা দামের ক্যামেরা এবং জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়া ৩শত টাকার ননজুডিশিয়াল স্টাম্প উদ্ধার হয়নি।
উল্লেখ্য এর আগেও কয়েকবার সংবাদকর্মী মঈন উদ্দিন এর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসব বিষয়ে শাহপরান( রহ:) থানায় কয়েকটি অভিযোগ ও সাধারণ ডায়রী দায়ের করলেও এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোন অভিযোগ বা সাধারণ ডায়রীর তদন্ত আলোর মূখ দেখেনি। যার ফলে ভূমিখেকো, টিলাখেকো, মাদকব্যবসায়ী, জাল দলিলের কারিগর, গাছ চোর সবাই একজোট হয়ে তাদের অপকর্ম নির্বিঘ্ন করতে বার বার মঈন উদ্দিনকে টার্গেট করে। কয়েক বছর আগেও গাড়ীচাপা দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাহার অপরাধ সে টাকার কাছে বিক্রি হয়না। সে সরকারী সম্পদ রক্ষা করতে চায়।
ঘটনার পর স্থানীয় ৩৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তিনি ঘটনা শুনার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হয়ে, সমাধানের জন্য যাকে পাঠিয়েছেন সেই ব্যক্তির নির্দেশে মঈন উদ্দিন কে নির্যাতন, ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া এবং জোরপূর্বক ননজুডিশিয়াল সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনা কাউন্সিলর পরিকল্পিত ঘটিয়েছেন তারই রাজস্বাক্ষী। কারন গত ২৬শে মার্চ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে তারা মঈন উদ্দিনকে দায়ী করে। চলবে