নিজস্ব প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা ৪ তলা বাড়িতে ঢুকে অভিযান শুরু করেছে পুলিশের সোয়াত ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) সদস্যরা।
২রা জুলাই মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এটিইউর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন প্রতিবেদককে বলে, ‘ভবনটির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটকে টার্গেট করে অভিযান চলছে। এখানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্যরা আস্তানা গেড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।’
৪ তলা এ ভবনটির মালিক সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেন। সোয়াত ও এটিইউ সদস্যরা ভবনটির ভেতরে প্রবেশের পর দরজা ভাঙার শব্দ পাওয়া যায়।
অভিযানের আগে পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানায়, গত ৮ ও ৯ জুন নেত্রকোণা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের একটি দোতলা বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার কক্সবাজার থেকে এক নারী জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জের বরপার আড়িয়াবো এলাকায় ৪ তলা এ ভবনটি চিহ্নিত করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে এটিইউ।
‘এ ভবনের একটি ফ্ল্যাটে বোমা তৈরিতে এক্সপার্ট এক ব্যক্তিরও অবস্থান রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। অভিযান শুরুর আগে বাড়ির সব সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে’, বলে জানায় পুলিশ।
এটিইউ ও সোয়াত টিম ছাড়াও ঘটনাস্থলে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরাও রয়েছে।
এ ভবনের নিচতলার ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ জানায়, সে ৩ বছর ধরে বাড়িটিতে ভাড়া থাকে। ভবনের মালিক জাকির হোসেনের পরিবারের কেউ এ বাড়িতে থাকে না।
তিনদিন ধরে তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখেছে বলে জানায় এ ভাড়াটিয়া শাহনেওয়াজ।
তিনমাস আগে তৃতীয় তলার ঐ ফ্ল্যাটে নতুন ভাড়াটিয়া উঠে। তাদের পরিবারে চারজন সদস্য, স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান। মধ্যবয়সী গৃহকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। তবে গত তিনমাসে তার সন্দেহজনক কোনো গতিবিধি নজরে পড়েনি বলে জানায় শাহনেওয়াজ।
আরো বলে, ‘আজ সকালে দেখি পুলিশ সদস্যরা বাড়ি ঘিরে রেখেছে। দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। পরে তারা জঙ্গির কথা জানায় এবং আমাদের সবাইকে বাড়ি থেকে নিরাপদে বের করে নেয়।’
