ওলিউল্লাহ জনি, ঢাকাঃ সরকার পদত্যাগের ১ দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। ৩ অগাস্ট শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সহস্রাধিক মানুষের সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ১ দফা দাবি ঘোষণা দেয়। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নাহিদ মাইকে সমবেত মানুষের উদ্দেশ্যে বলে, “মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠায় আমরা ১ দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।” নাহিদ আরও বলে, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব।”
যে স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়ে গেছে, তার সঙ্গে মানুষকে যোগ দেওয়া এবং পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানায় নাহিদ। সে কাল থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাটিও তুলে ধরে।
তথ্যমতে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ১৬ জুলাই সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরবর্তী সময়ে সংঘর্ষ ও সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হতাহতের ঘটনায় ৯ দফা দাবি দিয়েছিল। এবার ১ দফা দাবি তুলে ধরা হল। ৩ রা অগাস্ট শহীদ মিনারে সামনের সারিতে অন্তত ৬ জন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিল। তাঁরা হল- নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, সারজিস আলম, আবু বাকের মজুমদার ও আবদুল কাদের।
শহীদ মিনার ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সমবেত হয়েছে। ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে।
সকালে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় জোটের নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছে, দলের পক্ষ থেকে ৩ জনকে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হল- দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও মাহবুব উল আলম হানিফ।
দলীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও আলোচনায় থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।