ইসমাম হোসেন মুবিনঃ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেয় লাখো মানুষ। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ৩রা অগাস্ট শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। আরেকটি অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে।
৩রা অগাস্ট শনিবার বিকাল পাঁচটার সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবি ঘোষণা করে শিক্কার্থীরা। এরপর সেখানে আরও ঘণ্টা খানেক বিক্ষোভের করে ছয়টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনার এলাকা ছাড়তে শুরু করে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরো একটি অংশ শহীদ মিনার থেকে টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। আরেকটি অংশ শাহবাগ অভিমুখে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকে। মিছিলটি শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ সেখানে থাকা পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছোড়ে। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের একাংশ শাহবাগ থানার সামনে মানবঢাল তৈরি করে পুলিশের উপর যে কোন ধরনের আক্রমণ ঠেকায়। শাহবাগ মোড়ের সড়কে গিয়ে অবস্থান নেয় বিপুলসংখ্যক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও ৩রা অগাস্ট শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছিল। শিক্ষার্থীদের ঘোষিত ১ দফা কর্মসূচির বিষয়ে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, “প্রচণ্ড ক্ষোভ থেকেই সরকার পতনের এই ১ দফা দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছি। শিক্ষার্থী ও ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো হয়েছে। এটি তাঁরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এ জন্যই শিক্ষার্থীদের সাথে জনতা রাস্তায় নেমে এসেছে। যারা মানুষের বাক্স্বাধীনতা নষ্ট করে, নির্বিচারে গুলি ও অত্যাচার করে, এ রকম সরকারের শেষ পরিণতি বিদ্রোহের মাধ্যমে হয়। সরকারকে তাদের আত্মবিবেক জাগ্রত করতে হবে। স্বৈরাচারে অনাস্থা, জনগণে আস্থা- এটাই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে প্রমাণিত হল।”
মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সকল শিক্ষার্থী ও জনতাকে নিঃশর্তে মুক্তি দাবি করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।