তানভীর আহমেদ রাজীবঃ নারায়ণগঞ্জে বিজিবির গাড়ি আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। আন্দোলঙ্কারী শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই সেখান থেকে রক্ষা পায় বিজিবি সদস্যরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের কোথাও পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করলেও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কোটা সংস্কারের দাবিতে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ও জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে এবং ৯ দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।এই অবরোধ ও বিক্ষোভ নারায়নগঞ্জ শহরের চাষাড়া অনুষ্ঠিত হয়।
৩রা অগাস্ট শনিবার সকাল ১১.৩০ এর দিকে শিক্ষার্থীরা শহরের চাষাড়া মোড়ে সড়কে বাঁশ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দেখা যায়, ৩রা অগাস্ট শনিবার সকালে শহরের চাষাড়ায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা জড়ো হতে থাকে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী শহীদ মিনার থেকে রাস্তায় নেমে আসে। তাঁরা শহরের চাষাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকা ঘুরে চাষাড়ায় বিজয় স্তম্ভ গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘ছি ছি হাসিনা লজ্জায় বাচি না’ ‘আমার ভাইয়ের হত্যার, বিচার চাই করতে হবে’, ‘আমাদের এক দফা এক দাবি, সরকারের পদত্যাগ’ ইত্যাদি। পরে শিক্ষার্থীরা চাষাড়ায় সড়কের প্রবেশ মুখে বাঁশ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে।
এ সময় চাষাড়ায় বিজিবির ১টি গাড়ি আটক করে এবং পরে অনুরোধে শিক্ষার্থীরা বিজিবির গাড়ী ছেড়ে দিয়েছে দেখা যায়। অবরোধের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শহরের ভেতরে কোন যানবাহন প্রবেশ করতে ও বের হতে দেয়নি শিক্ষার্থীরা।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাৎ হোসেন দুপুর সোয়া ১ টার দিকে প্রতিবেদককে বলে, ‘শিক্ষার্থীরা সড়ক অবস্থান নিয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা সজাগ দৃষ্টিতে আছি, যাতে কারো কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয়।’