মাঈন উদ্দীন,সিলেটঃ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ অগাস্ট শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষে পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানো গ্যাস ও শটগানের গুলিতে ২৫০ থেকে ৩০০ জন আহত হয়েছে বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের হামলায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঐ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক করেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলে, ‘সারা দেশে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ শীর্ষক শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশের বাধার মুখে তাঁরা সেখানে অবস্থান নিতে পারেনি। বিকেল ৪টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হসপিটালের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ ‘গণমিছিল’ কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। ঐ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানো গ্যাস ও শটগানের গুলি ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, পুলিশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পর বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সড়কে ছড়িয়ে পড়ে।পরে একাধিকবার আঞ্চলিক মহাসড়কে ওঠার চেষ্টা করে। তখন আবার তাঁদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানো গ্যাস শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও দফায় দফায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী তেমুখী, সুরমা আবাসিক এলাকা, তপোবন, আখালিয়া, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা ও বাগবাড়ি বর্ণমালা পয়েন্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে থেমে থেমে ছাত্র-জনতার দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।