তানভীর আহমেদ রাজীবঃ ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অনেকে। ৪ আগস্ট রবিবার বেলার এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা।
দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকে এবং বিশাল আকার ধারণ করেন। তাদের সাথে গার্মেন্টস শ্রমিকরাও যোগ দিতে থাকে। সবাই মিলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া গোল চত্বর এলাকাটি অবরোধ করে। কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর, আন্দোলনে যোগ দেওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে একটি অংশ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালান। প্রথমে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ডিসি থিমপার্কটিতে আগুন দেয়। পরে তারা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় জেলা প্রশাসকসহ অন্য কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে, পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। পুলিশের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কারোর নাম জানা যায়নি। ডিসি অফিসের কাছে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ হামলা করছে শুনে সবাই সামনের দিকে এগিয়ে যায়। সামনে এগোতেই পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুড়ে। নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ২৮ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে দশ-বারো জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।