অসহযোগ কর্মসূচি সংঘর্ষে অন্তত নিহত:৯৩

84

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সারাদেশে সংঘর্ষে অন্তত ৯৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য। রবিবার (৪ আগস্ট) বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, দিনভর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ৮ জন এবং সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন।

সারাদিন সংঘাতে কিশোরগঞ্জে ৪ জন, রাজধানী ঢাকায় ৬ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন এবং সিলেটে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এছাড়া কুমিল্লায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন, শেরপুরে ২ জন, জয়পুরহাটে ১ জন, হবিগঞ্জে ১ জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন এবং বরিশালে ১ জনসহ ৯০ জন নিহত হয়েছেন।

এদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। গণজমায়েত করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধতে দেখা যায়। তাছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও গুলি বর্ষণ করে।

কোথাও কোথাও দ্বিমুখী-ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে কমবেশি সব শ্রেণির লোকজন মারা যান। এদের মধ্যে পুলিশ, বিক্ষোভকারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও পথচারী রয়েছেন।

স্বভাবতই গোটা দেশ স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করেছে সরকার। 

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এছাড়া আগামী সোম, মঙ্গল ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।