নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গতকাল ৫ আগস্ট সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ২৫ শীর্ষ নেতার বাড়ি ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাসায় হামলার পাশাপাশি সিলেটে পুলিশ সুপারের কার্যালয়; সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানা; বন্দরবাজার, সোবহানীঘাট ও লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট জেলা পরিষদ ও নগর ভবনে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া সিলেটে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কারাগারে ভাংচুরের চেষ্টা হয়েছে বলে দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায় যে, শহরের বন্দরবাজার এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া উড়ছে। ভবনের সামনে বেশ কয়েকটি পোড়া গাড়ি পড়ে আছে। ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলতে এখানে ভিড় জমিয়েছে মানুষ। ভাংচুর করা নগর ভবনের সামনে পড়ে থাকা গ্লাস পরিষ্কার করছেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
একাধিক পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথি বা কাগজপত্র অবশিষ্ট নেই। আসবাবসহ সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একই ঘটনা ঘটেছে বন্দরবাজার, সোবহানীঘাট ও লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে। গতকাল ৬ আগস্ট মঙ্গলবার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ফাঁড়িগুলো সংস্কার করে চালু করা হলেও জরুরি কাগজপত্র না থাকায় চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রচারের পরপরই একদল লোক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুরুত্বপূর্ণ ও সুপরিচিত নেতাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এক প্রতিমন্ত্রী, দুই সংসদ সদস্য, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের একাধিক কাউন্সিলরের বাসায় হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে।