সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কাচঁপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরিবহন শ্রমিক জনি নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের বাবা ইয়াসীন।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার সোনারগাঁ থানায় দায়েরকৃত এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮৭ জনের নাম উল্লেখ ও শতাধিক অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সোনারগাঁ পৌরসভার বালুয়া দীঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা ইয়াছিনের ছেলে জনি নাফ গাড়িতে হেলপারের কাজ করত। ২০ জুলাই ছাত্রবৈষম্য আন্দোলন পন্ড করতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে আগ্নেয়্স্ত্রা, পিস্তল, সটগান, ককটেল, লাঠি সোঠা নিয়ে কাচঁপুর নার্সারির সামনে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এসময় ছাত্রজনতাকে উদ্দেশ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ও মারধর করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। বিকেল ৫ টার দিকে জনি কাচঁপুর সেতুর ঢালে বুকে দুটি গুলবিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৮৭ জনের নাম উল্লেখ ও শতাধিক অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আসামীঃ শেখ হাসিনা আসাদুজ্জামান খাঁন, ওবায়দুল কাদের হাসান মাহমুদ, শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, রবিউল আলম রনি, জাহাঙ্গীর, আব্দুল্লাহ আল-কায়সার মোঃ মাহফুজুর রহমান কালাম, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, রফিকল ইসলাম নান্নু, সোহাগ রনি, মোশারফ হোসেন, নুরে আলম খাঁন, বাবুল ওমর, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, আল আমিন সরকার, আব্দুর রউফ, মোঃ রাসেল, নাছির উদ্দিন নাছির, ইউসুফ দেওয়ান, মোঃ মোতালেব হোসেন স্বপন, মোঃ কামাল মেম্বার, আবু সাঈদ, মোঃ আলী হায়দার,মোবারক হোসেন, মোস্তফা, তাইজুদ্দিন, শ্যামল ভূইয়া, সাগর, আবু নাঈম ইকবাল মোঃ মানিক, মোঃ নূরুদ্দীন সরকার, রফিক মেম্বার, মোঃ মোবারক হোসেন, তাজুল ইসলাম, মোঃ শাহাবুদ্দিন (শাবু), ফারুক ওমর, মোঃ সফি, নবী হোসেন, মোঃ মিজানুর রহমান ,লিটন খাঁন, মাহবুব খাঁন, শাহ আলম খাঁন,মতিন খাঁন, শাহীন উরফে লগ্গী শাহীন, হারুন শেখ, মোঃ করিম, মোঃ সবুজ, মোঃ সোহেল, মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ বিল্লাল, কামরুল হাসান, মোঃ রবিন, মোঃ রাজীব, মোঃ দ্বীন ইসলাম, সুজন, ফজলে রাব্বী, হামিম শিকদার শিপলু হুমায়ুন কবির ভূইয়া, সোলায়মান হোসেন (সুজন), আব্দুর রশিদ মোল্লা সালাতুজ্জামান (মাউন্না), আশিক সরকার, রমজান মেম্বার, বাদল মিয়া ওসমান @ ওসান, শামীম রেজা, জাবেদ রায়হান জয়, আবুল মেম্বার, হারুন, মাসুম চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, সজীব, করিম,এস. কে. সজীব, আলী আকবর মেম্বার,সেলিম রেজা, মোঃ কামরুজ্জামান ভূইয়া ,মনির, আল আমিন, বাদশা, আনিছ, বিল্লাল হোসেন, জসিম,, লুৎফর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, তানভীর,, আরিফ, আবু হানিফ, ফিরোজ মোল্লা, নেকবর মেম্বার, মোঃ মোশারফ হোসেন, মোঃ কবির হোসেন, মোশারফ, সফি, মোঃ মিনটু, কামাল হোসেন, মোঃ গনি মাসুদ রানা, অন্তর ওরফে আকের, আব্দুল গাফফার, রহিম মিয়া, মাহফুজ, মামুন, মোঃ ইসহাক মিয়া, বজলুর রহমান, আমির হোসেন,সোহরাব হোসেন, মোঃ সামুল,আব্দুর নূর, নাজমুল খাঁন শান্ত, আব্দুল আরাফাত, মোঃ পায়েল, কাউছার ভূইয়া, মোঃ বাবুল, শাহাদাত হোসেন মেম্বার, মোঃ মল্লিক মঞ্জুর হোসেন, ফয়সাল, সালাম শিকদার,দেওয়ান কামাল, ইবু, আরমান সিদ্দিকী,, নরুজ্জামান ওরফে নুইজ্জা,নবী হোসেন, ইসমাইল মেম্বোর, মোঃ সোহেল, মোঃ জুয়েল,মোঃ ইমরান, মোঃ বাতেন, টারজান শিকদার, আওলাদ, সুলতান, রমজান, ইমাম উদ্দিন, মোহাম্মদ, সুমন, নূর আলম, মোঃ মনির হোসেন @ ফরমা মনির, দেলোয়ার হোসেন মেম্বার, মোঃ ইসমাইল, দেওয়ান উদ্দিন চুন্নসহ ১৮৭ জন ও অজ্ঞাত ১০০ এর বেশি।
অভিযুক্তদের কপ্যেক জনের সাথে আলাপ করলে তারা বলে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছি।জাতীয় পার্টির কয়েক জনের নাম এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির নেতা আবু নাঈম ইকবাল।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসিকে কল করে পাওয়া যায়নি।