মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় হামলা, আহত ২

119

মাঈন উদ্দীন : সিলেটের খাদিম বিআইডিসি এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় ২ জন ছুরিকাঘাতসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে এসএমপির শাহপরান (রহ:) থানায় গত ১৩ জুলাই আব্দুল আজিজ নামের একব্যক্তি বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার নং- ১৮/২৪। তারিখ ১৭/০৭/২০২৪ ইংরেজি।

বাদী আব্দুল আজিজ তার অভিযোগে উল্লেখ করে বিবাদীরা শাহপরান খাদিম বিআইডিসি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বিবাদীদের মাদক ব্যবসায় কেউ বাঁধা দিলে তাহার উপর নেমে আসে হামলা/ মামলা, প্রাণ নাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও হয়রানি।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিবাদীরা দলবদ্ধভাবে বিআইডিসি এলাকায় বে-আইনিভাবে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাদক ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মাদক ব্যবসায় কেউ বাঁধা বা নিষেধ করিলে অভিযোগে উল্লেখিত ও

অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা একাধিকবার বিভিন্ন জনকে মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে, যাহার প্রমাণ বাদীর কাছে সংরক্ষিত আছে। বিগত কয়েকদিন যাবৎ বিবাদীরা এলাকায় মাদক বিক্রি করিলে বাদীসহ স্থানীয়রা বাঁধা নিষেধ করিলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিচার সালিশ হলেও তাদের অপকর্ম বন্ধ হয়নি, বরং বেড়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২/০৭/২০২৪ ইং তারিখে এসএমপি’র শাহপরান থানাধীন বিআইডিসি আবাসিক এলাকার মেইন রাস্তায় আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীগনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ইয়াবা, গাজা বিক্রি করিতে দেখে বাদীর বড় পুত্র আব্দুল আহাদ মুন্না (২৮) বাঁধা নিষেধ করিলে বিবাদীগন সদুত্তর না দিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১-৩ নং বিবাদী মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্য গলার কাঁধে চাকু দিয়ে আঘাত করিলে সেই আঘাত লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তাহার বাম হাতের হনায় লাগিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।এসময় তাহার চিৎকার শুনিয়া ছোটভাই আব্দুল হালিম মোবারক (২০) দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসিলে ৪-৬নং বিবাদী তাকেও হত্যার উদ্দেশ্য বাম পায়ে একাধিক চাকু দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ৭-১২ নং বিবাদী তাদের দুইভাইকে মেরে ফেলতে গলাটিপে শ্বাসরোধ করিলে তারা অনেক কষ্ট করে তাদের কবল থেকে রক্ষাপায়। মুন্না এবং মোবারকের চিৎকার শুনিয়া নাজমুল ইসলাম জুনেদ, জমিল আহমদ, শিমুলগাজী, বাবর উদ্দিন বাবলা ও জুবেল আহমদ ঘটনাস্থলে আসিলে নিন্মেউল্লেখিত বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাদের উপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, লাথি মারিয়া নীলাফুলা জখম করে এবং তাদের মাদক ব্যবসায় কেউ বাঁধা নিষেধ করলে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায় বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করে।

পরে উপস্থিত লোকজন চুরিকাঘাতে রক্তাক্ত আহতদের চিকিৎসার জন্য সিএনজি যোগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

অভিযোগ রেকর্ড হওয়ার পর বিবাদী ৫ জন আদালতে জামিন নিতে উপস্থিত হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে এই মামলায় ৫জন জেলহাজতে আছে।

অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীরা হলেন (১) নূরু মিয়া-৪৫, (২) আব্দুস ছামাদ -৩৫, (৩) শাহাব উদ্দিন-৪০, (৪) রাজ মিয়া-১৯, (৫) তাজ মিয়া-১৮, (৬) মুন্না-২২, (৭) কামরান আহমদ-৩৫, (৮) গুলজার মিয়া-২৩, (৯) জুনাইদ আহমেদ-২৫, (১০) কামরান মিয়া-২৫, (১১) সাইফুল ইসলাম জেমি-৩৫, (১২) শেখ শাহ আল জেকি-৩৭, (১৩) হীরা মিয়া-৪২ ও (১৪) এমরান মিয়া-৪৫সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন, সর্বসাং- মীরমহল্লা, বহর আ/এ, থানা- শাহপরান, জেলা-সিলেট।