সোনারগা প্রতিনিধিঃ নারায়নগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৫ অগাস্ট রোববার দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ সোনারগাঁ থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর জমা দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট বুধবার আরও একটি অভিযোগ দেন আলতাফ হোসেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, সোনারগাঁ পৌরসভার ইছাপাড়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর যাবৎ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পরিচালনা করছে। এই উপজেলায় ভারতের ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২৯৪ জন ছিল কিন্তু গত ৫৩ বছরে বেড়ে প্রায় ৫ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা হয়। এদের মধ্যে বির্তকিত ও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে টাকার পাহাড় করেছে দুর্নীতবাজ ওসমান গনি । শুধু তাই নয় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার স্বাক্ষরিত চেক বই নিজের কাছে রেখে নিজেই ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে এই বাটপার। চলাচল করে প্রাইভেট কারে করে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের টিভি ও কম্পিউটার তার নিজ বাসায় ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বরাদ্ধের অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগও তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সকে নিজের পারিবারিক কমপ্লেক্স হিসেবে গড়ে তুলেছে। বাবা উপজেলা কমান্ডারের দায়িত্বে ও ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে।
প্রাক্তন মেম্বার ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলতাফ হোসেন বলে,“ইতিমধ্যে আত্মসাৎ কৃত কিছু মালামাল ফেরত দিয়েছে ওসমান গনি। বাকি মালামাল ফেরতসহ তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মে শাস্তির দাবি করে আলতাফ।”
অভিযুক্ত সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি মুঠোফোনে বলে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ক্ষমতার লোভে তারা এমন অভিযোগ তুলছে বলে দাবি করে ওস্মান গনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা, আমি কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত নই।”
সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধের পর ২৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিল তা কিভাবে ৫৩ বছরের ৫ শতাধিকের বেশি হয়েছে জানতে চাইলে মিথ্যাবাদী ওসমান গনি কথা এড়িয়ে যায়।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, “এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের গণস্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করা হচ্ছে।”