নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের উকিল পাড়ার মক্ষী রানীদের কু-কর্ম ডাকতে মিথ্যা মামলার বলি প্রবীন সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহার কমিশনার। দিপালী দাস ও তার স্বামী শংকর চন্দ্র দাস ১৯৯২ সালে ফরিদপুর থেকে ৩ বছরের মেয়ে স্মৃতি দাসকে কোলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ এসে টানবাজারের র্যালী বাগানের বস্তিতে আশ্রয় নেয়। সেই ৩ বছরের মেয়ে স্মৃতি দাস এখন নারায়ণগঞ্জের মক্ষি রানী হিসাবে ক্ষেত। দিপালী দাস যৌবন কালে টানবাজার বিভিন্ন লোকের সাথে মেলামেশা টাকা রোজগার করে সংসার চালাত বলে জানা যায়। তৎকালীন সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহার হোসেনের সাথে পরিচয় দিপালী দাসের। অসহয়তার ভান করে কমিশনার আজহার হোসেনের অফিসে অফিস সহকারীর কাজ নেয় প্রতারক দিপালী দাস। এখন দাবী করে কমিশনারের স্ত্রী ও স্মৃতি দাস কমিশনারের মেয়ে। কিছু দিন পর এসে যুক্ত হয় দিপালীর বোন রিতা রানী ও তার স্বামী সুনিল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহার হোসেন কমিশনার পাশাপাশি প্রভাবশালী রাজনীতিবীদ ও নেতা এবং ব্যবসায়ী ছিলেন। অঢেল সম্পত্তির মালিকো ছিলেন। তার ভাই সিরাজ কমান্ডার ৯০ দশকে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক এমপি ছিলেন। সকলে টানবাজার এলাকার মিনা বাজারে বসবাস করেন। দিপালী ও রিতা রানী গংদের অনেক সাহায্য সহযোগিতা করতেন আজাহার কমিশনার। তথাপি দিপালী ও রিতা কুকর্মের সাথে জড়িয়ে টাকা উপার্জন করত। দিপালীর মেয়ে স্মৃতি রানী দাস কিশোর বয়স থেকে মা ও খালার কার্যকলাম দেখতে দেখতে ঐ লাইনে পা রাখে। টান বাজার ও র্যালী বাগানের যুবকদের মক্ষী রানী হয়ে ঊঠে স্মৃতি রানী। কু-কর্ম করার কারনে টানবাজার ও মিনা বাজার থেকে মারধর খেয়ে অন্যত্র গিয়ে গা ডাকা দেয়। কিছু দিন পর আবার শহরে এসে একই কাজ শুরু করে। তাদের সাথে পরিচিত হয় ইডেন কলেজে পড়ুয়া আরেক মক্ষী রানী ভুমি দস্যু তাসলিমা জলির। এই জলি ঝোপ বুজে কোপ মারে আজহার কমিশনারের ছেলে মাজহারুল ইসলাম জোসেফের উপর। রঙ্গিন দুনিয়ার ফুর্তি করে জলি জোসেফকে বাধ্য করে বিয়ে করতে। জানা যায় জলির আগে বিয়ে হয়েছিল।
জলি জোসেফকে বিয়ে করার পরে শুরু করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। ঝুট ব্যবসা, জমি জবর দখল, ঘাট দখল, যানবাহনে চাদাবাজি সব করে এই তাসলিমা জলি। স্বামী ছাড়াও জলির আছে একাধিক বেড পার্টনার রয়েছে বলে জানা যায় এবং জড়িত আছে স্মৃতির সাথে কু-কর্মে। জলির শেল্টারেই স্মৃতি ও রাত্রী কু-কর্ম করে বলে জানায় এলাকাবাসী। স্মৃতি বাপের বয়সের পুরুষের সাথেও চম্পট মেরে যৌবনের জাল মিটিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। দিপালী অপহরনের মামলার বাহানায় মক্ষীরানী স্মৃতিকে আবার উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনে।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, স্বামী জোসেফকে কালো জাদু করে শ্বশুরের সম্পদ হরন করার জন্য দিপালী-রিতা ও স্মৃতিকে ব্যবহার করে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহার কমিশনারকে ধর্ষনের মামলায় ফাসিয়ে দেয় জলি। টাকার বিনিময়ে পুলিশের এস আই আলাউদ্দীনকে দিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন রিপোর্ট বানিয়ে আদালতে প্রেরন করে। রিতার স্বামী সুনিলকে দিয়ে উকিল পাড়ার বাড়ীর ৭ম তলায় রোম জবর দখল করায়, মিথ্যা মামলা নিজে স্বাক্ষী হয়, আবার ছেলেকে দিয়ে বাবার বিরুদ্ধে মিথা স্বাক্ষী দেওয়ার ফাদ করে। জলি অপ-কর্মের কারনে বন্দর থানার সাবদি থেকে দৌড়ানি খেয়েছে, বন্দরের রুপালীতে বাড়ী আছে, টানবাজার জমি আছে, শহীদ নগরে জমি দখল করেছে। অন্যের জমি দখল করে কব্জা করা জলির ডান হাতের কাজ কারন তিনি ইডেন কলেজের ছাত্রলীগের নেত্রী বলে কথা এবং ওসমান পরিবারের সাথে ভাল সখ্যতা ছিল বলে জানা যায়।
এব্যাপারে জলির স্বামী জোসেফের বক্তব্য,“ সত্য লিখেন, কোন পক্ষের স্বার্থ রক্ষায় ভুল তথ্যে কিছু লিখবেন না। তাসলিমা জলির সাথে এরেঞ্জ বিয়ে নয়, প্রেম করে বিয়ে। পরে পরিবার মেনে নিয়েছ। জলি ইডেন কলেজে পড়াশুনা করেছে, ইডেন থেজে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে।” জোসেফ আরো বলে, “আমার বাবার নামে ধ্ররষন মামলা সম্পুর্ন মিথ্যা। আমাদেরকে মিথ্যা স্বাক্ষী বানিয়েছে, আমরা হলফনামা এফিটডেফিট করে কোর্টে জমা দিয়েছি,আমাদের পরিবারের মধ্যে বর্তমানে কোন ঝামেলা নাই, সব মিটমাট ও আপোষ হয়ে গেছে। দিত্বীয় ব্যাপারটাও (দিপালীর)আশা করি শেষ হয়ে যাবে।
এব্যাপারে তাসলিমা জলি বলে, “মামলায় মাদের ছাড়াও ১০/১২ জনের স্বাক্ষীর মধ্যে দিয়েছে, যেহেতু বাসায় পুলিশ এসেছে মামলা সত্য বলেই এসেছে, আমরা আজহার সাহেবকে অনেক আগেই অনেক বার বলেছি এগুলি পারিবারিকভাবে শেষ করার জন্য, উনি করে নাই। আমাকে প্রশ্ন করেন কেন? উনাকে জিজ্ঞাসা করেন, সারা নারায়ণগঞ্জের লোক জানে, আর এব্যাপারে আমরা বলে দিয়েছি কোন স্বাক্ষী দিবনা, ছবি আইডি কার্ডও দিয়েছি, আমি বলেছি যে জায়গায় স্বাক্ষর করতে বলে আমি সাইন করে দিব এবং দিয়ে দিয়েছিও। আর এটা অনেক দিন আগের ঘটনা, মরা জিনিস নিয়ে আপনারা এখন লিখতেছে কেন? আমাদের পারিবারি ব্যাপারটা আমরা শেষ করে ঈদে একসাথে খাওয়া দাওয়াও করেছি।” প্রতিবেদকের প্রশ্ন আপনি নাকি এসব কিছুর কাটি নাড়ছেন। উওরে জলি বলে, “আমি কেন এ সব করব, কিসের স্বার্থে করব?” প্রতিবেদকের উওর সম্পত্তি হরন করার জন্য। উওরে জলি বলে, উনার স্মপ্ততি হত্ন করব কেন? আমার কি কম আছে, যা আছে অনেক ভাল আছে ইন-শাহ আল্লাহ, আর আপনি কি মনে করেন আমি দিপালীর সাথে মিলে ব্ল্যাক মেইলিং করলে আজাহার সাহেব সম্পত্তি লিখে দিবে, আপনি কি চিনেন উনাকে…………। জলি আরো বলে, “আমার রুপালীতে বাড়ী আছে, তবে আপনাকে বলব কেন, কতটুকু কয়তালা, আমি ব্যবসা করি, জায়গা কিনি বেচি, ভালি ভড়াট কজরে প্লট করে বেচি, এভাবে বেচি। আমার কোম্পানি টম্পানি নাই।” সাবদিতে জলির জমি আছে, ওখানে তার অফিস আছে, ওখানেই তার ব্যবসা। বাকি তথ্য প্রতিবেদকের কাছে আছে প্রয়োজনে প্রকাশ করা হবে।
এ ব্যাপারে দিপালী ও স্মৃতিকে কল করলে তারা কল ধরে নাই। চলবে……।