বন্দর প্রতিনিধি: ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস নির্বাহী কর্মকর্তার, বাস্তবে উল্টো দৃশ্য। থানা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের পকেটে যাচ্ছে জুয়ার টাকা। বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে কদম রসুল দরগাহ’র ৪ দিনের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। দরগাহ হতে বরাবর শীতলক্ষা নদীর পার পর্যন্ত আর মা’র মাজার পর্যন্ত দরবারের সীমানা। মেলার অনুমতি দিয়েছে, অথচ নির্ধারিত সীমানা ছেড়ে ঐতিহ্যবাহী বুধবাড়িয়া হাট পর্যন্ত বিভিন্ন দোকানসহ জুয়ার ভোটের অনুমতি দিয়েছে কে? মেলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন, এর অন্তরালে জুয়ার ভোটের অনুমতি দিয়েছে কে এমনই প্রশ্ন সর্বত্র?
প্রতিদিন জুয়ার ভোট হতে প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা যাচ্ছে কার পকেটে। দেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে মেলার অন্তরালে জুয়ার আসর নিয়ে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দায় নিবে কে? দরবার কমিটি, নাকি প্রশাসন? বিভিন্ন প্রকার জুয়ার ভোটের মাধ্যমে আয়কৃত টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। জুয়ার আসর চালাতে গিয়ে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বুধবাড়িয়া হাটকে খেলার মাঠে রুপ দিয়েছে সিটি করপোরেশন। দেশের প্রেক্ষাপট, কোটির টাকার মাঠ নষ্ট করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আসলেও যাচ্ছে কার পকেটে।
মেলার অন্তরালে জুয়ার বিষয়টি সর্বমহলে আলোচিত হলেও নীরব ও রহস্যজনক ভূমিকায় সিটি করপোরেশন, বন্দর উপজেলা ও থানা প্রশাসন। কার স্বার্থে মেলার অন্তরালে জুয়ার আসর। মেলার অন্তরালে জুয়া খেলার আসর বন্ধ করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।
সূত্র মতে, বন্দরের রানা, মনির ও মিদুলের নের্তৃত্বে মেলার অন্তরালে জুয়ার আসর চললেও দৃষ্টি যেন নেই প্রশাসনের। পবিত্র ১২ ই রবিউল আউয়াল উপলক্ষে কদম রসুল দরগাহ ৪ দিন ব্যাপী মেলার অনুমতি দেয়। দরগাহ হতে বরাবর পশ্চিম দিকে নদীর পার পর্যন্ত। মেলার ঐ অনুমতির সুযোগে চালাচ্ছে জুয়ার আসর। প্রশাসনের সকল সেক্টর যেন রহস্যজনক ভূমিকায়। মেলার নামে ঐতিহ্যবাহী বুধবারীয়া হাটের মাট কোটি টাকায় খেলাধুলার জন্য করে। সেই কোটি টাকার মাঠ করছে নষ্ট, কুলশিত করছে মেলার ঐতিহ্য। টাকা যাচ্ছে কার পকেটে? বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা ভিন্ন দেখা মিলেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে কল করে পাওয়া যায়নি।