নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁয়ের গরীব অসহায়দের টাকা আত্মস্বাদের অপচেষ্ঠায় লিপ্ত বিএনপির নেতা আতাউর রহমান ও আওয়ামীলীগের কালাম পন্থী লিয়াকত আলী। আওয়ামীলীগের সময়ে সন্ত্রাসী যুবলীগের সোনারগাঁ থানা সভাপতি নান্নুর সাথে আঁতাত করে আতাউর অবৈধ পন্থায় আগুলফোলে কলাগাছ হয়েছে কিন্তু এখন বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই লুটেপুটে ও দখল বানিজ্যে দিশেহারা। আরেক জন লিয়াকত জাতীয় পার্টি ছেড়ে কালাম পন্থি হয়ে এতদিন বিচারের নামে প্রহসন করে লুটেপাট করে খেয়ে, এখন আতাউরের সাথে হাত মিলিয়ে গরীব অসহায়দের আমানতের টাকা আত্মস্বাদ করার অপচেষ্ঠা করছে বলে জানা যায়।
সুত্রমতে, লিয়াকত আলী এক এডভোকেটের মাধ্যমে তার চাচাত ভাই সোলায়মানকে দিয়ে সাহাপুর মৌজার সোনারগাঁ হাসপাতালের সামনে মেইন রোডের পাশে সাড়ে ৫ শতাংশ ভুমি ৮৫ লাখ টাকা মুল্য ধরে ২০ লক্ষ টাকা অগ্রীম দিয়ে বায়না রেজিস্ট্রি করায়। কিছুদিন দিন পর নাটক সাজিয়ে আতাউরের মাধ্যমে হারুন গং দিয়ে থানা ও আদালতে ৪টি মামলা করায় উক্ত ভুমি নিয়ে।উক্ত ভুমি ২০০৪ সালে কোর্টে মামলা করে, প্রাথমিক ডিক্রি পেয়ে চুড়ান্ত ডিক্রি পায়। ২০১০ সালে কোর্ট থেকে ডিক্রি জারির রায় পেয়ে আদালত মাধ্যমে সাড়ে ১২’র কাতে ১০.৫০ শতাংশ দখল পায় সুলতান মাহমুদ। ৪ শতাংশ ভুমি সুলতান মাহমুদের ওয়ারিশ আগের দখলদার অমিত হাসান টাকার বিনিময়ে রায় ডিক্রী মেনে আদালতে আপোষ দিয়ে মালিক হয়। উক্ত ভুমির সাড়ে ৫ শতাংশ বায়না করে সোলায়মান। দায়েরকৃত ৪ মামলার ৩টা খারিচ হয় এবং বাকী ১টি মামলাও খারিজ হয়ার পথেছিল কিন্তু এই দুই দুর্নীতিবাজ মিলে সুলতান মাহমুদের ওয়ারিশদের ফুঁসলিয়ে হারুন গংদের কাছে ভুমি বিক্রি করার পায়তারায় মাতিয়ে দেয়। নানা কৌশলে টেপে ফেলে ৮৫ লাখ টাকার ভুমি ৪০ লাখ টাকায় হারুন গংদের নিকট মীমাংসা করায় এবং সুলতান মাহমুদের ওয়ারিশদের ৩ লাখ টাকার বদলে ৫ লাখ দিতে বাধ্য করায় সন্ত্রাসী আতাউর ও ঘুষখোর বিচারক লিয়াকত।
সোলায়মানের ২০ লাখ টাকার সাথে ১ লাখ টাকা বেশি নিয়ে দিয়ে বাকি ২০ লাখ টাকা আদালতে আপোষ করে সুলতান মাহমুদকে ১৫ লাখ টাকা বুজিয়ে দিয়ে ৫ লাখ টাকা হারুন অর রশিদ, এডভোকেট কামরুজ্জামান, মোহাম্মাদ আলী জনি, ইতু আরও অনেক লোকের সামনে আমানত হিসাবে লিয়াকত তার কাছে গচ্ছিত রাখে এই বলে যে, সুলতান মাহমুদ যেভাবে তার ওয়ারিশদেরকে দিতে বলবে, সেভাবে দিবে শর্তে। কিন্তু গচ্ছিত টাকা ওয়ারিশদের দিতে তালবাহানা শুরু করে। কয়েকদফা বলার পর কাকা ও চাচাত ভাইকে ২ লাখ প্রদান করে চেকের মাধ্যমে, বাকীদের টাকা দিতে গড়িমশির মাধ্যমে প্রতারনা শুরু করে লিয়াকত।কয়েক মাস ধরে দেইদিচ্ছি করে গরীবের টাকা আত্মস্বাদ করার পায়তারা করছে ক্ষমতার বড়াই দেখিয়ে। টাকা চাইতে গেলে মিথ্যা মামলার ভয়, অশোভাচরন, ক্ষুন-গুম ও বিভিন্ন ধনের হমকি দিচ্ছে আতাউর ও লিয়াকত।