নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আতাউরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে সংগঠক ও সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ। অসহায় গরীবের টাকা আত্মস্বাদ করায় পায়তারায় কারায় বারবার তাগাদা দিয়ে টাকা না পাওয়ায় এই অভোগ করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী। সুকৌশলে প্রতারনা করে আদালতের মাধ্যমে দখলকৃত ভুমি, ৮৫ লাখ টাকায় বিক্রিত জমি ওয়ারিশদের দিয়ে প্যাচ লাগিয়ে আতাউর তার আত্মীয়দের কাছে আদালতের মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকায় আপোষ করিয়ে দিতে বাধ্য করে।আতাউর লিয়াকত প্রভাব খাটিয়ে ওয়ারিশের ভাগের টাকা ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা দিতে বাধ্য করায় সুলতান মাহমুদকে।উক্ত ৫ লাখ টাকা আমানত হিসাবে গচ্ছিত রেখে অসহায়দের দিতে গড়িমশি করে ২ লাখ টাকা দিয়ে বাকী ৩ লাখ টাকা আত্নস্বাদ করে। অসহায়ের টাকা ফেরত ও অশুভ আচরন ও হুমকির বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করে সুলতান মাহমুদ। অভিযোগের অনুলিপি জেলা পুলিশ সুপারকে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটি হুবহুব তোলে ধরা হলঃ
সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী সুলতান মাহমুদ(৫১) পিতাঃ মরহুম চান মিয়া সরকার মাতাঃ মরহুমা জোসনা বেগম। স্থায়ীঃ সাং-হাড়িয়া বৈদ্য পাড়া, থানা-সোনারগা, জেলা- নারায়নগঞ্জ এই মর্মে আপনার থানায় এসে অভিযোগ করছি যে ১) আতাউর রহমান (৫০) পিতা-মৃত হাকিম, সাং মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা, থানা- সোনারগাঁ, জেলা-নারায়নগঞ্জ ২)লিয়াকত আলী পিতা-মৃত আরতস আলী(৫৫)সাং-কৃষ্ণপুরা, থানা- সোনারগাঁ,জেলা-নারায়নগঞ্জ এর কাছে আমার গরীব আত্মীয় স্বজনদের দেওয়ার জন্য জমি বিক্রিয়ের ৫ লাখ টাকা নারায়ণগঞ্জ কোর্টে হারুন অর রশিদ, এডভোকেট কামরুজ্জামান, ইতু, মোহাম্মাদ আলী জনিসহ আরো অনেকের সামনে আমানত হিসাবে গচ্ছিত রাখি। আমানতের গচ্ছিত টাকা দেই দিচ্ছি করে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে আত্নস্বাদ করার পায়তারা করছে এই লিয়াকত ও আতাউর।এর আগে সুকৌশলে লিয়াকত আলী তার ভাতিজা এডভোকেট সবুরের মাধ্যমে তার চাচাত ভাই সোলায়মানকে দিয়ে সাহাপুর মৌজার সোনারগাঁ হাসপাতালের সামনে মেইন রোডের পাশে সাড়ে ৫ শতাংশ ভুমি ৮৫ লাখ টাকা মুল্য ধরে ২০ লক্ষ টাকা অগ্রীম দিয়ে বায়না রেজিস্ট্রি করায়। কিছুদিন দিন পর নাটক সাজিয়ে আতাউরের মাধ্যমে হারুন গং দিয়ে থানা ও আদালতে ৪টি মামলা করায় উক্ত ভুমি নিয়ে। উক্ত ভুমি ২০০৪ সালে কোর্টে মামলা করে, প্রাথমিক ডিক্রি পেয়ে চুড়ান্ত ডিক্রি পায় নিম্মস্বাক্ষরকারী। ২০১০ সালে কোর্ট থেকে ডিক্রি জারির রায় পেয়ে আদালত মাধ্যমে রায়ের সাড়ে ১২’র কাতে ১০.৫০ শতাংশ দখল পায় সুলতান মাহমুদ। ৪ শতাংশ ভুমি সুলতান মাহমুদের ওয়ারিশ আগের দখলদার অমিত হাসান টাকার বিনিময়ে রায় ডিক্রী মেনে আদালতে আপোষ দিয়ে মালিক হয়।উক্ত ভুমির সাড়ে ৫ শতাংশ বায়না করে সোলায়মান। দায়েরকৃত ৪ মামলার ৩টা খারিচ হয় এবং বাকী ১টি মামলাও খারিজ হয়ার পথে ছিল কিন্তু এই দুই দুর্নীতিবাজ মিলে সুলতান মাহমুদের ওয়ারিশদের ফুঁসলিয়ে ও কুবুদ্ধি দিয়ে ভুমি বিক্রি করার পায়তারায় মাতিয়ে দিয়ে উক্ত ভুমি বিক্রি করতে বাধ্য করে হারুন গংদের কাছে, যাতে ৪৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়। নানা কৌশলে টেপে ফেলে ৮৫ লাখ টাকার ভুমি ৪০ লাখ টাকায় হারুন গংদের নিকট মীমাংসা করায় এবং সুলতান মাহমুদের ওয়ারিশদের ৩ লাখ টাকার বদলে ৫ লাখ দিতে বাধ্য করায় সন্ত্রাসী আতাউর ও ঘুষখোর বিচারক লিয়াকত। সোলায়মানের ২০ লাখ টাকার সাথে ১ লাখ টাকা বেশি নিয়ে দিয়ে বাকি ২০ লাখ টাকা আদালতে আপোষ করে সুলতান মাহমুদকে ১৫ লাখ টাকা বুজিয়ে দিয়ে ৫ লাখ টাকা হারুন অর রশিদ, এডভোকেট কামরুজ্জামান, মোহাম্মাদ আলী জনি, ইতু আরও অনেক লোকের সামনে আমানত হিসাবে লিয়াকত তার কাছে গচ্ছিত রাখে এই বলে যে, সুলতান মাহমুদ যেভাবে তার ওয়ারিশদেরকে দিতে বলবে, সেভাবে দিবে শর্তে। কিন্তু গচ্ছিত টাকা ওয়ারিশদের দিতে তালবাহানা শুরু করে। কয়েকদফা বলার পর কাকা ও চাচাত ভাইকে ২ লাখ প্রদান করে চেকের মাধ্যমে, বাকীদের টাকা দিতে গড়িমশির মাধ্যমে প্রতারনা শুরু করে লিয়াকত। কয়েক মাস ধরে দেই দিচ্ছি করে গরীবের টাকা আত্মস্বাদ করার পায়তারা করছে ক্ষমতার বড়াই দেখিয়ে এই আতাউর। টাকা চাইতে গেলে মিথ্যা মামলার ভয়, অশোভাচরন, ক্ষুন-গুম ও বিভিন্ন ধনের হমকি দিচ্ছে আতাউর ও লিয়াকত। উক্ত ভুমি থেকে আমার তৈরি করা টিনের দো-চালা ঘরটি আতাউর ও লিয়াকত ক-বুদ্ধি দিয়ে আমার কাকা নুরুল ইসলামকে দিয়ে রাতের অন্ধকারে আমাকে না জানিয়ে নিয়ে যায়, যার মুল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকার বেশি। গত কয়েদিন আগে আমার স্টাফ সোনারগাঁ গিয়ে আতাউরকে থেকে উক্ত টাকা চাইলে তার সাথে অশোভ আচরন করে বলে, সুলতানকে কইছ বেশি বাড়াবাড়ি করলে গুম করে লাশ হাওয়া করে দিব।