নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ডিবির এস আই সাফির বিরুদ্ধে আইজিপি ও ডিআইজির নিকট অভিযোগ করলে নারায়ণগঞ্জ এসপি অফিস ডিআইজি অফিসের অভিযোগের তদন্ত করার দায়িত্ব পায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক রুহুল আমিন সাগর। আইজিপির অভিযোগের তদন্ত কে পেয়েছে বা করেছে তার হদিস পায়নি অভিযোগকারী। বিভিন্ন নাটকীয়তায় সাফির দেওয়া অনৈতিক সুবিধায় মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন পাঠায় রুহুল আমিন সাগর। তারপরেও থামেনি সাফির দুর্নীতি, ডিবি থেকে বদলী রুপগঞ্জে, রুপগঞ্জ থেকে আবার ডিবিতে, আবার শুনা যায় মানিকগঞ্জ বদলী হয়েছে কিন্তু নারায়নগঞ্জেই ডিবি অফিসে কর্মরত আছে দেখা যাচ্ছে এবং ফাদ পাতছে কিভাবে অসহায়দের নিকট থেকে ফয়দা লুটতে। সফিউল আলম সাফির মত দুর্নীতিবাজ পুলিশের জন্যই বদনাম হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের। আইজিপি ঈ স্বরাষ্ট্র সচিবের নিকট করা অভিযোগটি হুবহুব তোলে ধরা হলঃ
সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী সাংবাদিক, সংগঠক ও ব্যবসায়ী সুলতান মাহমুদ, পিতাঃ মরহুম চান মিয়া সরকার, স্থায়ী ঠিকানাঃ হাড়িয়া বৈদ্যপাড়া, থানাঃ সোনারগাঁ, জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ বর্তমান ঠিকানাঃ বাড়ী নং ০১, নেকবর মাতবর রোড, মাহমুদপুর(আরাফাত নগর), থানা-ফতুল্লা মডেল, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, এই মর্মে আপনার নিকট আবেদন করছি যে, পুর্ব শত্রুতা ও সংবাদ প্রকাশের জেরে ষড়যন্তমুলকভাবে, অন্যের প্ররোচনায় ও প্রতিহিংসায় এবং উদ্দেশ্য প্রনিতভাবে অনৈতিক সুবিধা পেয়ে মামলায় নিম্মস্বাক্ষরকারীর নাম অন্তভুক্ত করে। বিগত আমলের সোনারাগা থানার ওসি হাফিজুর রহমান আওয়ামী যুবলীগের সোনারগাঁ থানা সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু অনৈতিক সুবিধা পেয়ে ও হস্তক্ষেপে নিম্মস্বাক্ষরকারীর নাম মিথ্যা মামলায় যুক্ত করে, যার মামলা নাম্বার ১৩(৪)২১, ১৭(৪)২১, ঐ সময়ের এসপি জায়েদুল আলমকে জানালে তিনি হতভম্ব হয়ে পরে এবং বলে,“বলেন কি আপনার নামে মামলা, আপনি সোনারগাঁয়ে যাইয়েন না,ব্যাপারটা আমি দেখব।” ২০২৩ সালে তৎকালীন ওসি মাহবুবুর রহমান সুমন তার বন্ধু মান্নান ভুঁইয়া থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বাদী এস আই ফিরোজকে দিয়ে সোনারগাঁ থানার মামলা নং ৩১ তারিখ ২১/০৮/২৩ ইংতে নিম্মস্বাক্ষরকারী সাংবাদিক সুলতান মাহমুদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। একইভাবে ডিবির এস আই সফিউল আলম সাফি অনৈতিক সুবিধা পেয়ে ৬ নভেম্বর রাত ১১টায় জামতলা থেকে স্যার কথা বলবে বলে ডিবি অফিসে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার মামলা নং ৩১ তারিখ ৩০/১০/২৩ ইং নিম্মস্বাক্ষরকারী সাংবাদিক সুলতান মাহমুদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে কোর্টে চালান করে। সোনারগাঁ থানার মামলা ৩১/০৮/২৩ এর ব্যপারে ওসি মাহবুর রহমান সুমনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “ভাই তাড়াহুড়ার মধ্যে ভুলে হয়ে গেছে আপনি জামিন নিন বাকীটা আমি দেখব।” ঐ সময় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেই। নারায়নগঞ্জ সদর থানার মামলার কথা ডিবির এস আই সাফিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “স্যারের কথায় করা হয়েছে” কিন্তু কোন স্যার সেটা তিনি বলেন না। ডিবির এস আই সফি অনৈতিক সুবিধা পেয়ে আমাকে সমাজে হেয় পতিপন্ন ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এই অপকর্ম করেছে। আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী সাংবাদিক কোন দলের সাথে জড়িত নই বা কোন রাজনীতি করি না। তবে কেন বা কিসের জন্য নিম্মস্বাক্ষরকারীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং ব্যবসায় আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঐ সময় সাফি আমার মোবাইল ফোন ক্লোন করে অনেক গুরত্বপুর্ন ফাইল ও কল রেকর্ড গায়েব করে। উক্ত মামলাগুলির ঘটনা সুষ্ঠ তদন্ত করে সুবিচার করার জন্য তৎকালীন আইজপি’র ও ডিআইইজির নিকট আবেদন করলে ডিআইজি অফিসের আবেদনটি নারায়ণগঞ্জ এসপি অফিসে আসলে অতিরিক্ত এসপি ট্রাফিক রুহুল আমিন সাগরকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় তৎকালীন এসপি গোলাম মোস্তফা। পরবর্তীতে নিম্মস্বাক্ষরকারীকে নোটিশ জন্য কল করলে অফিস স্টাফ দিয়ে নোটিশ নিয়ে তার জবাব লিখে, তার সাথে সমস্ত কাগজাদি সংযুক্ত করে রুহুল আমিন সাগর বরাবর জমা দেই কিন্তু তার অফিসের স্টাফ কাগজাদি রেখে কোন রিসিভিং স্বাক্ষর করে নাই, নিম্মস্বাক্ষরকারী তদন্ত অফিসারের তারিখ ও সময়মত নারায়ণগঞ্জ এসপি অফিসে গিয়ে কয়েক ঘন্টা বসে থেকে গুরুত্বপুর্ন ব্যবসায়িক কাজ থাকায় চলে আসে। এস আই সাফি অনৈতিক সুবিধা দিয়ে রুহুল আমিন সাগরকে বায়াস্ট করে মিথ্যা প্রতিবেদন করিয়েছে যা আমি মানি না। নিম্মস্বাক্ষরকারীর দেওয়া কাগজাদি গায়েব করে এই অপকর্ম করেছে সাফি ও সাগর। তৎকালীন আইজির নিকট করা আবেদনের ব্যাপারে নিম্মস্বাক্ষরকারী অদ্য পর্যন্ত কিছুই জানে না যে তদন্ত হয়েছে কি না? ডিবির এস আই সফিউল আলম সাফি গত জুলাই মাসে ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের সময় দপ্তরবার্তা নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মিঠুকে ৪/৫ ঘন্টা তার হায়েস গাড়ীতে আটক করে মানসিক নির্যাতন করে নিম্মস্বাক্ষরকারীর বাসার ঠিকানার জন্য। এই দুর্নীতিবাজ সাফি এখনো বিভিন্নভাবে নিম্মস্বাক্ষরকারীকে সংবাদ করার জেড়ে হয়রানী করছে, নানা রকম হুমকি ও নানা মামলায় ফাসানোর অপচেষ্ঠা করছে। আমি দুর্নীতিবাজ পুলিশদের সুষ্ঠ বিচার চাই। সিআইডি বা পিবিআইকে দিয়ে তদন্ত দেওয়ার অনুরোধ করছি।