নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁ থানার ওসি এম এ বারীর বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপির নিকট অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ। সোনারগাঁ থানায় চাঁদাবাজ আতাউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে ওসি বারী সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে এই বলে,“অভিযোগের স্বাক্ষী না নিয়ে আসলে আপনাকে ভিতরে ভরে দিব।” আরো বলে,“লিয়াকতের নাম ঠিক আছে, আতাউরের নাম দিয়েছেন কেন?” তাছাড়া একজন এসপির কথা বলাতে ওসি বারী বলে,“চেয়ার না থাকলে এসপি টেসপির ভেলু নাই। আরো শুনা যাচ্ছে বিএনপির কিছু নেতাদের সাথে মিলে হত্যা মামলায় নাম ডুকানো নিয়ে অনৈতিকভাবে অপ-কর্ম করছে। ১০ নভেম্বর ওসি বারীর বিরুদ্ধে আইজিপি’র নিকট অভিযোগ করেন সাংবাদিক সুলতানা মাহমুদ। যার নং এস-এল ৬৮৬ তারিখ ১০/১১/২৪ ইং অভিযোগটি হুবহুব তোলে ধরা হলঃ
সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী সাংবাদিক, সংগঠক ও ব্যবসায়ী সুলতান মাহমুদ, পিতাঃ মৃত চান মিয়া সরকার, স্থায়ী ঠিকানাঃ হাড়িয়া বৈদ্যপাড়া, পোঃ উদ্ধবগঞ্জ, থানাঃ সোনারগাঁ, জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ বর্তমান ঠিকানা-বাড়ী নং ০১, নেকবর মাতবর রোড, মাহমুদপুর(আরাফাত নগর)থানা-ফতুল্লা মডেল,জেলা-নারায়ণগঞ্জ, এই মর্মে আপনার নিকট অভিযোগ করছি যে, সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বারী নিম্মস্বাক্ষরকারী থানায় অভিযোগ করতে গেলে অশোভ আচরন করে। একজন চাদাবাজের পক্ষ হয়ে বলে, লিয়াকতের নাম ঠিক আছে, আতাউরের নাম দিয়েছেন কেন? লিয়াকতকে ধরিয়ে দিন, তার নামে মামলা আছে। আবার বলে, অভিযোগের স্বাক্ষী নিয়ে আসবেন, না আনতে পারলে ভিতরে ভরে দিব। একজন পুলিশ সুপারের পরিচয় দিলে ওসি বারী বলে, চেয়ার না থাকলে এসপি টেসপির দাম নেই। ঐ দিন একজন সেবা প্রত্যাশীর সাথে থানায় দমক দিয়ে অনেক অভদ্র ব্যবহার করে যা একজন ওসি থেকে আশা করা যায় না। এম এ বারী সোনারগাঁ জয়েন্ট করার পর থেকে বিএনপি নেতা আতাউরের সাথে মিলে রাজনৈতিক হত্যা মামলার নাটক করে, নাম ডুকানো বা নাম বাদ দেওয়ার পায়তারা করে অনৈতিকভাবে ফয়দা লুটছে যা নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই বের হবে। যুগান্তরসহ অন্যান্য অনলাইন পোর্টালে নিউজ পাবলিশ হওয়ার পর বিএনপির চাদাবাজ ও ঘুষখোর নেতারা এম এ বারিকে লেলিয়ে দিয়ে অনেককে ফাসিয়ে দিচ্ছে মিথ্যা মামলায়। এরই জেরে নিম্মস্বাক্ষরকারীকে রাজনৈতিক হত্যা মামলায় জড়ানোর পায়তারা করছে বলে ঘনিষ্ঠ এডভোকেট থেকে জানা যায়, তার প্রমানও রয়েছে। চাদাবাজ আতাউর নিম্মস্বাক্ষরকারীকে হোয়াটস আপে কল করে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ফেইচবুকে ফেইক আইডি দিয়ে মিথ্যা গুজব সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মানহানি এবং ব্যবসায়ীক ক্ষতি করছে। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানায় সাধারন ডায়েরী করতে গেলে জিডি না নিয়ে দপ্তরবার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারকে ১ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে অশুভাচরন করে ফেরত পাঠায় আর বলে ঐ বেটারে আসতে হবে। তাই এমন পুলিশ অফিসার দিয়ে মানুষের সেবা আশা করা যায় না বিধায় তার বদলি অত্যাবশ্যক বা আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।