স্টাফ রিপোর্টার:
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ময়মনসিংহ কার্যালয়ের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আউয়ালের নামে রয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ।তিনি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশ্রবপুর গ্রামের বাসিন্দা। আওয়ামীলীগের ময়মনসিংহ-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসানের আস্থাবাজন হওয়ায় গত ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে নিজ জেলায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই আব্দুল আউয়াল গড়ে তোলেন বিশাল সিন্ডিকেট,হয়ে উঠেন বেপরোয়া। বিভিন্ন উপজেলা অফিস থেকে পিওন ও অফিস সহকারীকে নিজ ক্ষমতাবলে বদলি করে এনে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। চাকরি হারানোর ভয়ে নির্যাতন সহ্য করেও মুখ খুলতে পারেন না এসব পিওন ও কর্মচারীরা। এছাড়াও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আউয়ালের বিরুদ্ধে ভাতিজার মাধ্যমে ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করতেন ।বদলি বাণিজ্য হয়ে উঠে তার নেশা।
সুত্রমতে জানা যায়, সার্কেলের উপজেলার উপ-সহকারী প্রকেশৈলীদেরকে ২/৩ মাস পরপর ফোন দিয়ে জানানো হয়, তুমি কোথায় যেতে চাও বল & তোমাকে বদলী করা হবে। এই যুদ্ধকী শুনে তারা নিয়মিত ভাবে তাকে উপটেকেন দিয়ে খুশি করে যাচ্ছে। আর এতে তার অফিসের বড় বাবুকে এ কাজে ব্যাবহার করছে।
পেনশনের আর PRL এর জন্য প্রত্যেক জনের কাজ থেকে ১ থেকে ২.৫ লাখ টাকা করে নেয়। আব্দুল আউয়াল ময়মনসিংহ বিভাগে বাংলার জমিদার ভাবে বসবাস করছে। তার সন্তাদের স্কুলে আসা-নেওয়া কাজে আরেক পিয়ন কৃষ্ণকে নিয়োজিত
করছে। তারা মুখ ভুজে বদলীর ভয়ে কিছু বলতে পারছেনা। দূর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি, তার পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে রয়েছে সম্পদের পাহাড়।
নিজ জেলায় চাকরি করার কারণে তিনি ব্যাপক প্রভাব খাটান সর্বক্ষেত্রে। সকল নির্যাতন সহ্য করেও ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না কেউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এই নির্যাতন থেকে বাঁচতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।এ সকল অভিযোগের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আউয়ালকে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।